ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পালটা হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Pakistan)—জঙ্গিদের রক্তের প্রতিটি বিন্দুর বদলা নেওয়া হবে। যদিও বাস্তবে পাকিস্তানের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন (Pakistan)। ভারতের প্রত্যাঘাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে জর্জরিত হলো ইসলামাবাদ (Pakistan)। বালোচ লিবারেশন আর্মি (BLA) চালালো ভয়াবহ হামলা (Pakistan)—রিমোট কন্ট্রোল আইইডি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিল পাক সেনাবাহিনীর গাড়ি (Pakistan)। ঘটনায় অন্তত ১২ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর, যদিও পাকিস্তান সরকার স্বীকার করেছে ৮ জনের মৃত্যু (Pakistan)।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার, বালোচিস্তানের মাচ এলাকায়। জানা গেছে, সেনাবাহিনীর গাড়িটি বোলানের আমির পোস্ট ও আলি খান ঘাঁটির মাঝামাঝি অবস্থানে পৌঁছতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে BLA-এর স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল অপারেশনস স্কোয়াড।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বিস্ফোরণের ভিডিও। সেখানে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় গাড়িটি উড়ে যায় এবং পাক সেনারা বাতাসে ছিটকে পড়ে। মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহগুলি।
এই ঘটনায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কমান্ডার, তারেক ইমরান নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেনার দাবি অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ছয়জনই ছিলেন মেজর পদমর্যাদার অফিসার। বিস্ফোরণের পর ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
এর আগে রবিবারই আরেক পাক অফিসার, আমজাদ আবাবাকিকে হত্যা করে বালোচ জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, গত মার্চ মাসে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন অপহরণ করে দীর্ঘ সময় ধরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল BLA। এরপর একাধিকবার পাকিস্তানি সেনার কনভয়, পোস্ট ও যানবাহনকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে তারা।
বালুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের কাছে এক রক্তাক্ত আখ্যান। বালোচ জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করতে গিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সেই আগুনেই এখন বারবার জ্বলছে ইসলামাবাদ।