ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় আগ্রাসী পাকিস্তান (Indian Army)। অপারেশন ‘সিঁদুর’-এর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা (Indian Army) বরাবর বেছে বেছে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করেছে পাক সেনা। ভারত যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হেনেছে (Indian Army), নিরীহ নাগরিকদের যেন কোনওভাবেই ক্ষতি না হয়, সেই দিকেও রেখেছে বিশেষ নজর (Indian Army), সেখানে পাকিস্তান নির্লজ্জভাবে গ্রামবাসীদের উপর হামলা নামিয়ে এনেছে (Indian Army)। পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে শহীদ ভারতের এক সেনা আধিকারিক (Indian Army)।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই পাক সেনার আগ্রাসন বেড়েছে। বুধবার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখার ধারে কুপওয়ারা, আখনুর ও পুঞ্চ সেক্টরের গ্রামগুলিতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ চালায় তারা। ভারতের সেনাবাহিনীও পালটা জবাব দিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাতের সংঘর্ষে কোনও নতুনভাবে বেসামরিক প্রাণহানির খবর না থাকলেও, শহিদ হয়েছেন এক ভারতীয় জওয়ান। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কার্নাহ সেক্টরে পাক সেনার গুলির জবাব দিতে গিয়ে শহিদ হন দীনেশ কুমার নামের এক জওয়ান। যদিও এই শহিদের মৃত্যুর বিষয়টি এখনও সরকারিভাবে নিশ্চিত করেনি সেনা।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পাকিস্তান একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে সেই লঙ্ঘনের মাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চরমে। আগে যেখানে মূলত সেনা ছাউনিগুলির দিকে হালকা মেশিনগান ও ছোট অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছিল, সেখানে এখন ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে সরাসরি সাধারণ মানুষের বসতিপূর্ণ এলাকাগুলিকে নিশানা করছে পাক সেনা।
বুধবার সকালেই কাশ্মীরের গ্রামাঞ্চলে পাক সেনার গোলাবর্ষণে মৃত্যু হয় ১২ জন নিরীহ নাগরিকের। আহত হন আরও ৩০ জন। বৃহস্পতিবার সকালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫-তে।
ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনার মাঝে দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং নিরীহ নাগরিকদের রক্ষা করতে তারা সর্বতোভাবে প্রস্তুত এবং উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।