পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় কপালের সিঁদুর দেখে বেছে বেছে স্বামীদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জেহাদিরা (Operation Sindoor)। সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড দেশের হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করেছিল (Operation Sindoor)। নারীর অহংকার, সিঁদুরকে টার্গেট করে চালানো হয়েছিল হিংসার নারকীয়তা (Operation Sindoor)। এরই পাল্টা জবাব দিল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে চালানো হয় প্রত্যাঘাত— ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)।
এই অভিযানের তাৎপর্য শুধু সীমান্তে নয়, প্রগাঢ় প্রতীকী বার্তা দিয়েছিল দেশে-বিদেশে। সেনাবাহিনীর এই অভিযানের সাফল্য সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরলেন দুই মহিলার নেতৃত্বে— কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।
অনেকের মতে, যে নারীদের মনে আতঙ্কের ছাপ ফেলতে চেয়েছিল জেহাদিরা, সেই নারীরাই এখন দেশের প্রত্যাঘাতের কাহিনি তুলে ধরলেন।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি: সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক
ভারতীয় সেনার সিগন্যাল কর্পের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি দেশের গর্ব। ২০১৬ সালে ভারতের মাটিতে আয়োজিত সবচেয়ে বড় বহুজাতিক সামরিক মহড়া ‘এক্সারসাইজ ফোর্স ১৮’-তে তিনি ছিলেন একমাত্র মহিলা কমান্ডার। তিনি নেতৃত্ব দেন ১৮ দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত মহড়ায় ভারতীয় সেনার ৪০ সদস্যের দলকে।
সোফিয়ার কৃতিত্ব এখানেই শেষ নয়। ছয় বছর রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ছিলেন তিনি। কঙ্গোর মতো অশান্ত অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ত্রাণ ও পুনর্বাসনেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেনাবাহিনী তাঁর রক্তে— কারণ তাঁর দাদুও ছিলেন ভারতীয় সেনায়। বর্তমানে তিনি বিবাহিত একজন মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রি অফিসারের সঙ্গে।
উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং: আকাশপথে সাহসের প্রতীক
ব্যোমিকা সিং ভারতীয় বায়ুসেনার একজন সম্মানিত উইং কমান্ডার। সাহস, শৃঙ্খলা ও পেশাগত কৃতিত্বে উজ্জ্বল তাঁর সামরিক জীবন। অপারেশন সিঁদুরের মতো উচ্চমাত্রার অভিযানে তাঁর ভূমিকা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই দুই সেনানায়িকার সম্মিলিত উপস্থিতি অপারেশনের সাফল্যকে যেন এক নতুন মাত্রা দিল। বার্তা স্পষ্ট— ভারতীয় সেনা শুধু সীমানায় নয়, মানসিক, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধেও অটুট।