পহেলগাঁও হামলার পরও সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পাকিস্তান (Operation Sindoor)। বরং জঙ্গিদের আড়াল করতে ব্যস্ত ছিল ইসলামাবাদ (Operation Sindoor)। এমনটাই অভিযোগ তুলে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি (Operation Sindoor)। তিনি জানান, হামলার ১৫ দিনের মাথায় ভারত বাধ্য হয়েই চালিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে সুনির্দিষ্টভাবে নিশানা করে ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটি (Operation Sindoor)।
মঙ্গলবার গভীর রাতে চালানো এই অভিযানে অংশ নেয় ভারতের তিন বাহিনী—সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা। বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দফতর সহ একাধিক ঘাঁটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। গোটা অভিযানে সরাসরি নজরদারি চালান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৫ মিনিটের এই সফল অপারেশনের পর বুধবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হন বিদেশ সচিব মিসরি।
তিনি বলেন, “কাশ্মীর ধীরে ধীরে সন্ত্রাসের ছায়া কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। পর্যটন ছিল তার মেরুদণ্ড। গত বছরে দুই কোটিরও বেশি মানুষ উপত্যকায় ঘুরতে এসেছিলেন। সেই উন্নয়ন চোখে সহ্য হয়নি পাকিস্তানের। তাই সচেতনভাবেই পর্যটকদের নিশানা করে জঙ্গি হামলা চালানো হয় পহেলগাঁওয়ে। জঙ্গিরা নিজেরাই জানিয়েছিল, তারা চেয়েছিল যেন এই খবর সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছয়।”
এই হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। আর এই সংগঠনের হয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ওকালতি করেছে পাকিস্তান, বলে অভিযোগ করেছেন বিদেশ সচিব।
মিসরি আরও বলেন, “পহেলগাঁও হামলার পর বিশ্বের বহু দেশ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ রুখতে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও একটি বিবৃতি দিয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আহ্বান জানায়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ইসলামাবাদ। তাই নিজেদের সুরক্ষার জন্য ভারতকেই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।”
তিনি জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুধুমাত্র বদলার প্রতীক নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক নির্দেশিকাকে সম্মান জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন।