কথায় বলে, ‘ঘর পোড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়’ (Operation Sindoor)। একদিকে দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদের মদত (Operation Sindoor), অন্যদিকে ভারতীয় সেনার কড়া প্রত্যাঘাত (Operation Sindoor)—সব মিলিয়ে চরম চাপের মুখে পাকিস্তান। এই আবহেই ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)-এর প্রতিবাদে মুখ খুললেন দুই পাক অভিনেত্রী মাহিরা খান ও হানিয়া আমির। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা সরাসরি এই সামরিক অভিযানের (Operation Sindoor) সমালোচনা করেন, যার পর থেকেই ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক।
পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর বর্বর হামলার পরে ভারতের তরফে চালানো এই প্রত্যাঘাত নিয়ে মাহিরা খান ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “এই হামলা কাপুরুষোচিত। আল্লাহ আমাদের দেশকে রক্ষা করুন। আমিন।” যদিও এই একই মাহিরা খান বৈসরন হামলার পরও সন্ত্রাসের বিরোধিতা করেছিলেন। সেসময় তিনি লিখেছিলেন, “বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে হিংসা কাপুরুষতা ছাড়া কিছুই নয়।” তবে সেই পোস্ট তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে ফেলেন। সেই সিদ্ধান্তেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বহু পাকিস্তানি নাগরিক, বলেছিলেন—“ভারতের পক্ষ নিয়ে নিজের দেশকেই ছোট করছেন।”
এদিকে, জনপ্রিয় পাক অভিনেত্রী হানিয়া আমির, যিনি ভারতীয় র্যাপার বাদশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেও পরিচিত, তিনিও প্রথমে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেছিলেন। এবার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি এক কথায় বলেন, “কাপুরুষোচিত।” যদিও কয়েকদিন আগে তাঁর একটি মোদিকে উদ্দেশ্য করে লেখা ভুয়ো পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পরে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, ওই পোস্ট তাঁর নয়।
তবে এত সব প্রতিবাদের মাঝেও পাকিস্তানে বহু মানুষই মনে করছেন, এই দুই অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য আদতে “চাপের মুখে প্রতিক্রিয়া”, কারণ ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো না গেলে দেশে নিন্দার মুখে পড়তে হয়। এক অংশ বলছেন, “নিজের দেশেই সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাহিরা ও হানিয়া যেভাবে চাপে পড়েছেন, তাতে তাঁদের ভবিষ্যৎ বলিউড ক্যারিয়ার আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠল।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় স্পষ্ট, শুধু সীমান্ত নয়—ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রভাব পড়ছে দুই দেশের সংস্কৃতি ও জনমনে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে বলিউডে জনপ্রিয়তা পাওয়া পাক তারকারা এখন নিজের দেশেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন?