শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Pahalgam Attack) ও জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ (Pahalgam Attack)। বৈঠকের মূল আলোচ্য ছিল পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Pahalgam Attack)।
সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর। মোদীর ‘অ্যাকশন প্ল্যান’-এর পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হামলার পর থেকেই একের পর এক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেনাকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—ভারত সন্ত্রাসের জবাব দেবে উপযুক্তভাবেই। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক সেই পরিকল্পনারই অংশ কিনা, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে, সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই সহ্য না করার বার্তা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপে একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারত-পাক সম্পর্কের টানাপড়েনে এবার আঘাত হানল বাণিজ্যিক সম্পর্কেও। শনিবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমস্ত রকম আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এমনকি যেসব পণ্য বর্তমানে ট্রানজিটে রয়েছে, সেগুলির ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
সেনা, কূটনীতি এবং বাণিজ্যের মোক্ষম কৌশলে পাকিস্তানকে চাপে রাখার প্রস্তুতি যে শুরু হয়ে গেছে, তা স্পষ্ট এই সমস্ত পদক্ষেপ থেকে।