কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুতে উত্তাল গোটা দেশ (Indus Water Treaty)। এর ঠিক পরেই ভারতের পক্ষ থেকে বড়সড় কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ‘সিন্ধু জলচুক্তি’ স্থগিত করা হয় (Indus Water Treaty)। এই সিদ্ধান্ত পৌঁছতেই পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপে সিমলা চুক্তি বাতিলের ঘোষণা করে (Indus Water Treaty))। একই সঙ্গে ইসলামাবাদের তরফে ভারতকে একাধিক হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু হয় (Indus Water Treaty)।
এই প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, তিনি বলেন, “আমরা কোনওদিনই সিন্ধু জলচুক্তির পক্ষে ছিলাম না। এই চুক্তি আমাদের রাজ্যের মানুষের প্রতি সবচেয়ে অন্যায্য এক নথি।” তিনি আরও জানান, “কেন্দ্র কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আর সেই সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কেমন হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।”
১৯৬০ সালের এই ঐতিহাসিক জলচুক্তির স্থগিতাদেশকে কেন্দ্র করে এবার অমিত শাহের বাসভবনে হতে চলেছে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন জলশক্তি মন্ত্রী সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে চুক্তি সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ দিশা আরও স্পষ্ট হতে চলেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পহেলগাঁও হামলা ঘটে ২২ এপ্রিল। আর তার ঠিক একদিন পরেই ভারত পাক-ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান একে ‘যুদ্ধের সমতুল্য পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দেয় এবং পাল্টা সিমলা চুক্তি বাতিলের পথ নেয়।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের তরফে জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব দেবশ্রী মুখোপাধ্যায় পাক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন যে, ভারত চুক্তি আপাতত স্থগিত রাখছে। সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রাক্তন কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা বলেন, “উঁচু অববাহিকার দেশ হিসেবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে, যা প্রয়োজনে ব্যবহার করা হতে পারে।”
এই সিদ্ধান্ত শুধু কূটনৈতিক স্তরে নয়, ভূ-রাজনৈতিক মানচিত্রেও বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।