নিজস্ব সংবাদদাতা: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) পর ভারতের কড়া অবস্থানের জেরে জবাবি প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন (Pahalgam Attack)। এই বৈঠক মূলত পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির (NSC) — যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে (Pahalgam Attack)এবং ভারতের সম্ভাব্য পদক্ষেপের মোকাবিলায় রণকৌশল নির্ধারণ করা হবে (Pahalgam Attack)।
এর আগে বুধবার দফায় দফায় ভারতের তরফে নেওয়া পদক্ষেপে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন তো বটেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পড়েছে সরাসরি প্রভাব। এই জটিল পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে চাইছে ইসলামাবাদ।
উত্তেজনার আবহে পাকিস্তানও নিরাপত্তার দিক থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের বায়ুসেনাকে, আরব সাগরে পাক নৌবাহিনীর চলমান মহড়ার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। সেনাপ্রধান আসিম মুনির তাঁর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে পরবর্তী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অন্যদিকে, ভারতে চলছে টানা কড়া নিরাপত্তা তৎপরতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পহেলগাঁও সফর সেরে ফেরার পরই শুরু হয় কেবিনেট কমিটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, যা চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। বৈঠকের পর ভারতের তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছয় দফা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তবে সূত্রের খবর, এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না ভারত। আরও বড় কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যার আশঙ্কায় কাঁপছে ইসলামাবাদ। সেই কারণেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই জরুরি বৈঠককে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন কূটনীতিক মহল।
এদিকে ভারতের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। প্রতি একশো মিটার অন্তর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, এবং এক কিলোমিটার অন্তর গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী সেনা ছাউনি। পাহাড়ি ও জঙ্গলে ঘেরা এলাকাগুলিতে চলছে কঠোর নজরদারি।
চরম উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বিপজ্জনক দিকে এগোচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখন শুধু সময়ই বলবে।