“হিন্দু হওয়া কি অপরাধ?”, “CBI তদন্ত চাই”, “স্থায়ী BSF ক্যাম্প চাই”—এমন নানা দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শনিবার রাস্তায় নেমে এলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আতঙ্কিত মহিলারা। তাঁদের (Murshidabad) একটাই দাবি—নিরাপত্তা। সরাসরি বলে দিলেন (Murshidabad), “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, আমাদের চাই নিরাপত্তা।”
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে গত ১১ এপ্রিল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সুতি, জঙ্গিপুর-সহ একাধিক এলাকা। দফায় দফায় ঘটে হিংসাত্মক ঘটনা। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, দোকানপাটে চলে লুটপাট। পয়লা বৈশাখের আগে থেকে পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হলেও আতঙ্ক কাটেনি সাধারণ মানুষের মন থেকে। বহু মানুষ আজও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন।
বিশেষত, এলাকার মহিলাদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ কাটছেই না। কারণ, তাঁরা জানেন, ক’দিন পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ফিরে যাবে, আর তখন কী হবে—সেই চিন্তায় তটস্থ তাঁরা। তাই এবার তাঁদের সরব প্রতিবাদ, স্থায়ীভাবে এলাকায় BSF ক্যাম্প স্থাপনের দাবি।
শনিবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও পৌঁছয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। তাঁদের দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক বৃদ্ধা মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমাদের আর কিছু চাই না, শুধু নিরাপত্তা চাই। আমরা খুব ভয় পাচ্ছি।” আর এক মহিলার কথায়, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, দুয়ারে সরকার চাই না। রাতে ঘুমোতে পারছি না। নিজের বাড়িতেও নিরাপদ বোধ করছি না। স্থায়ী BSF ক্যাম্প না হলে আমাদের বাঁচার উপায় নেই।”
আরও এক স্থানীয় মহিলা বলেন, “সব কিছু লুঠ করে নিয়ে গেছে, আমাদের জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে। এখন শুধু চাই কেউ আমাদের রক্ষা করুক।”
এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে হলেও মানুষের মধ্যে যে নিরাপত্তাহীনতা গভীরভাবে ছায়া ফেলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই প্রতিবাদে।