মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে আজ সরাসরি দেখা করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose )। আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাজ্যপালের (CV Ananda Bose ) কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, “সেদিন বলা হয়েছিল যাদের বাড়িতে ভালো মেয়ে আছে, তাদের বের করে দাও। বিএসএফ যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ নিরাপদ। কিন্তু পরে কী হবে? পুলিশ আমাদের সাহায্য করেনি, চার ঘণ্টা ধরে ফোন করেও সাড়া মেলেনি।”
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী আগেই রাজ্যপালকে মুর্শিদাবাদে না যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও, আজ রাজ্যপাল হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রাজভবনের ‘পিসরুম’-এর ফোন নম্বর দেন।
রাজ্যপাল জানান, “ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তার পাশাপাশি আরও কিছু দাবি তুলেছেন। তাঁদের পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। আমি বিষয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্থাপন করব। কার্যকর ও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
১১ এপ্রিল থেকে মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন কিশোর। ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে এক বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগও ওঠে। পুলিশের ভূমিকায় স্থানীয়রা অসন্তুষ্ট। নিহতের পরিবার রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখ্যান করে।
বিএসএফ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। ধুলিয়ানে একাধিক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে, যার মধ্যে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও একটি শপিং মল রয়েছে। ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়ি এবং বিধায়কের ওপরও হামলার অভিযোগ ওঠে। একইভাবে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের অফিসেও হামলা হয়েছে বলে দাবি।
পুলিশ এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে।