দোলের রাতে সল্টলেকে ঘটে গেল ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড (Murder)। প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার পি.কে. বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে খুন (Murder) হলেন এক পরিচারক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাকে হত্যার (Murder) অভিযোগ উঠেছে গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ অভিযুক্ত চালক বরুণ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে (Murder)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বাড়ির পরিচারক গোপীনাথকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রয়াত ফুটবলারের সল্টলেকের বাড়িতে বর্তমানে তাঁর দুই মেয়ে থাকেন। তাঁদের মধ্যে একজন সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রয়াত ফুটবলারের মেয়ে অভিযোগ করেন যে তাঁর পার্স থেকে কয়েক হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। এরপর তিনি বাড়ির চালকসহ পাঁচজন পরিচারককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্তকারীদের দাবি, তখনই বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। চালক বরুণ ঘোষ বারবার গোপীনাথের দিকে আঙুল তোলেন এবং তাকে দোষারোপ করতে থাকেন। গোপীনাথ এই অভিযোগ অস্বীকার করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
রাতের মদের আসরে ফের বচসা শুরু হয়, যা ক্রমেই মারাত্মক রূপ নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাগের মাথায় বরুণ হেঁশেল থেকে ধারালো অস্ত্র এনে গোপীনাথকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার সকালে পুলিশ অভিযুক্ত বরুণ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং খুনের পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া, মদের আসরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সল্টলেকের অভিজাত এলাকায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করতে চাইছে, এটি শুধুই বচসার জেরে ঘটেছে নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে।