গভীর রাতে অমৃতসরের খান্ডওয়ালার ঠাকুরদ্বারা মন্দিরে (Temple Attack) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঞ্জাবজুড়ে। জানা গেছে, দু’জন বাইক আরোহী মন্দিরে (Temple Attack) বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে তদন্ত চালাচ্ছে (Temple Attack)।
ঘটনার পরই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন শীর্ষ পুলিশ কর্তা। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মানও আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এই বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার জিপিএস ভুলার বলেন, “আমরা ভোররাত ২টায় খবর পাই এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। ফরেনসিক দলকে ডাকা হয়, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের আইএসআই আমাদের যুবকদের উসকানি দিয়ে পাঞ্জাবে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যুবসমাজকে সতর্ক করতে চাই— তারা যেন নিজেদের জীবন নষ্ট না করে। আমরা শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করব।”
ঘটনার নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান বলেন, “পাঞ্জাবের শান্তি বিঘ্নিত করতে নানা অপচেষ্টা চলছে— মাদক, গুন্ডামি, চাঁদাবাজি তার অংশ। বাইরে থেকে একটি ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে পাঞ্জাব একটি অশান্ত রাজ্য। অথচ সত্যি হলো, যেখানে অন্য রাজ্যে হোলির সময় মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রয়োজন হয়, সেখানে পাঞ্জাবে এমন ঘটনা ঘটে না। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
পাঞ্জাবের মন্ত্রী কুলদীপ সিং ধালিওয়াল বলেন, “গভীর রাতে কিছু দুষ্কৃতী মন্দিরে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হবে।”
এই ঘটনার পর পাঞ্জাব পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে।