Shopping cart

Magazines cover a wide array subjects, including but not limited to fashion, lifestyle, health, politics, business, Entertainment, sports, science,

TnewsTnews
  • Home
  • স্বাস্থ্য
  • Headphones: দিনে কতক্ষণ ব্যবহার করতে পারেন হেডফোন! বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না শুনলে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারেন
অফবিট

Headphones: দিনে কতক্ষণ ব্যবহার করতে পারেন হেডফোন! বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না শুনলে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারেন

Email :13

ডিজিটাল যুগে হেডফোন (Headphones) ও ইয়ারফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরোনোর সময় এগুলো ছাড়া থাকতে পারেন না (Headphones) । গান শোনা, ভিডিও দেখা বা কল অ্যাটেন্ড করার সময় হেডফোনের (Headphones) ব্যবহার এখন স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ ভলিউমে হেডফোন (Headphones)  ব্যবহারের কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

হেডফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করলে কানের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। উচ্চ শব্দ তরঙ্গ কানের ভেতরের সংবেদনশীল কোষগুলিকে ধ্বংস করতে পারে, যা শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে বধিরতার ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি অতিরিক্ত শব্দের কারণে মস্তিষ্কেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও বিভ্রান্তির সমস্যা।

৬০-৬০ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা হেডফোন ব্যবহারের জন্য ‘৬০-৬০ নিয়ম’ অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এর অর্থ হলো—

দিনে ৬০ মিনিটের বেশি হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।

সর্বোচ্চ ভলিউমের ৬০% এর বেশি রাখা উচিত নয়।

এই নিয়ম মানলে কানের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে না এবং শ্রবণশক্তির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

কেন ক্ষতিকর হেডফোন?

হেডফোন থেকে বেরিয়ে আসা উচ্চমাত্রার শব্দ সরাসরি কানের ভেতরের সংবেদনশীল কোষগুলির ওপর প্রভাব ফেলে। এই কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি কমতে শুরু করে। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ ভলিউমে হেডফোন ব্যবহার করলে কানের পর্দা পর্যন্ত ফেটে যেতে পারে।

কীভাবে কানের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন?

একটানা হেডফোন ব্যবহার না করে প্রতি ৩০-৪০ মিনিট অন্তর বিরতি নিন।

ইয়ারফোনের পরিবর্তে হেডফোন ব্যবহার করুন, কারণ ইয়ারফোন কানের ভেতরে সরাসরি শব্দ পৌঁছে বেশি ক্ষতি করে।

শব্দ নিরোধক (Noise Cancelling) হেডফোন ব্যবহার করুন, যাতে কম ভলিউমেও স্পষ্ট শব্দ শোনা যায়।

ব্লুটুথ বা ওয়্যারলেস হেডফোন কম ব্যবহার করুন, কারণ এ ধরনের ডিভাইস থেকে নির্গত বিকিরণ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

সম্ভব হলে, হেডফোনের পরিবর্তে স্পিকার ব্যবহার করুন।

সচেতন থাকুন, শ্রবণশক্তি রক্ষা করুন

দিনের পর দিন অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার শ্রবণশক্তির ওপর দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে চলা এবং মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts