প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার শাস্তির বিরুদ্ধে করা আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ আদালত। এর ফলে প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই আইনি বিপদের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump) । এখন দেখার বিষয় আমেরিকার শীর্ষ আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী সাজা ঘোষণা করে।
স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগ
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তিনি ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে ড্যানিয়েলসকে চুপ থাকার জন্য চাপ তৈরি করেন। এরপর, ২০২২ সালের মে মাসে ট্রাম্প প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও নির্বাচনে লড়তে গিয়ে ট্রাম্প কোনো আইনি বাধার মুখে পড়েননি কারণ আদালত সাজা ঘোষণার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
আদালতের আপিল খারিজ
ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করার পর এই মামলার শাস্তি স্থগিত রাখার জন্য আবার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালত জানায়, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে বসলে তার আইনি রক্ষাকবচ প্রয়োগ করা যাবে না। ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার সাজা ২০ জানুয়ারি, শপথ গ্রহণ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের মূল বিষয়
২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাথে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন তিনি। অভিযোগ, ট্রাম্পের মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘুষের বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সংস্থার নথিতে জালিয়াতি করারও অভিযোগ রয়েছে। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে ওই অর্থ পৌঁছানোর কাজ করেছিলেন, তবে ট্রাম্প শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
মার্কিন আইন অনুযায়ী, ট্রাম্পের কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা কম হলেও, আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে পারেন তিনি।