কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ঘোষণা করেছে, সাংসারিক বিবাদে সন্তানের প্রতি কোনোভাবেই অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করা যাবে না। আদালত (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, যদি স্ত্রী সন্তানকে স্বামীর বিরুদ্ধে চলমান মামলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন, তবে আদালত কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এমনকী স্ত্রী যদি নিজেকে সংশোধন না করেন, তাহলে সন্তানের দায়িত্ব স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (Calcutta high court) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়।
বিচ্ছেদের মামলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গার্হস্থ্য হিংসা এবং সাংসারিক বিবাদের কারণে সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাবা-মায়ের উভয়েরই সন্তানের বিকাশে সমান ভূমিকা থাকা উচিত।
এদিন, একটি মামলার শুনানিতে স্ত্রী দাবি করেন, সন্তান আতঙ্কিত হয়ে বাবার কাছে যেতে চায়নি। তবে বর্তমানে তিনি সন্তানকে বাবার কাছে পাঠাতে এবং সেখানে থাকতে চান। এ বিষয়ে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, যখন স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছেন, তখন তিনি কিভাবে সন্তানের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলে স্বামীর কাছে নিয়ে যেতে চান? তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক বলেন, স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন, আবার সন্তানকে সামনে রেখে স্বামীর ঘরে যাবেন, এটা মানা যায় না। সন্তানকে সামনে রেখে স্ত্রী আবার নতুন নাটক করতে চাইলে সেটাও আদালত মানবে না।
আদালত আগে নির্দেশ দিয়েছিল যে, সন্তান মায়ের কাছে থাকবে এবং বাবা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। কিন্তু স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, আদালতের নির্দেশের পরও বাবাকে সন্তান সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আদালত জানিয়েছে, সন্তানের ভবিষ্যৎ না ভেবে একজন মা কিভাবে এই কাজ করতে পারেন, তা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। আদালত সতর্ক করেছে যে, যদি স্ত্রী পুনরায় সতর্ক না হন, তবে সন্তানের দখল বাবার কাছে দেওয়া হবে।