প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প আসার পর থেকেই বিপদের দিন গুনতে শুরু করেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। আগেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের (Pakistan) ওপর বিশেষ সন্তুষ্ট ছিলেন না। মার্কিন কংগ্রেসে পাকিস্তানের (Pakistan) ‘নন-ন্যাটো সহযোগী’ মর্যাদা বাতিলের প্রস্তাব আবারও উত্থাপন করেছেন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য অ্যান্ডি বিগস। প্রস্তাবে তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তানকে (Pakistan) হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সামরিক অভিযান চালাতে হবে এবং আফগান সরকারের সঙ্গে কার্যকরী সহযোগিতা করতে হবে।
অ্যান্ডি বিগস, যিনি হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির ‘অপরাধ এবং ফেডারেল গভর্নমেন্ট নজরদারি’ সাবমকমিটির চেয়ারম্যান, জানিয়েছেন, পাকিস্তান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে তাদের এই মর্যাদা দেওয়া উচিত নয়। উল্লেখ্য, বিগস এর আগেও একাধিকবার এই প্রস্তাব পেশ করলেও তা এখনো পাশ হয়নি। এদিকে আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। বৈঠকে সুরক্ষা, চাবাহার বন্দর, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সহায়তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়াদিল্লির সুরক্ষা উদ্বেগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে আফগানিস্তান। তবে সুরক্ষা নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। দুবাইয়ে এই বৈঠকের ঠিক দুই দিন আগেই পাকিস্তানের এয়ার স্ট্রাইকের কড়া সমালোচনা করে ভারত। গত ২৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান আফগানিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক চালায়, যাতে মহিলা ও শিশুসহ অন্তত ৪৬ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারত এই ঘটনাকে ‘অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা ঢাকতে প্রতিবেশী দেশকে দায়ী করার প্রবণতা’ বলে মন্তব্য করে।
পাকিস্তান ২০০৪ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নন-ন্যাটো সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মর্যাদা ধরে রাখা নিয়ে চাপ বাড়ছে। কংগ্রেসে প্রস্তাব পাশ না হলেও, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের অবস্থান জটিল হচ্ছে। এই ঘটনাবলি দক্ষিণ এশিয়ায় সুরক্ষা ও কূটনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।