পাসপোর্ট জালিয়াতি (Fake Documents) কাণ্ডের তদন্তে নেমে বারাসত আদালতের মুহুরি সমীর দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নবপল্লির বাসিন্দা এই ব্যক্তি বাংলাদেশিদের জন্য জাল (Fake Documents) ভারতীয় নথি তৈরি করার পুরো একটি চক্র চালাতেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জাল নথি (Fake Documents) তৈরির জন্য নির্দিষ্ট রেট চার্ট ছিল তাঁর।
তদন্তে উঠে এসেছে, সমীর দাস বিভিন্ন ভারতীয় নথি তৈরির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিতেন। আধার কার্ডের জন্য ১৫ হাজার টাকা, জন্ম শংসাপত্রের জন্য ১২ হাজার এবং প্যান কার্ড তৈরির জন্য ৩ হাজার টাকা দাবি করতেন। বারাসত আদালতে কাজ করায় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ নিয়েই এই চক্র চালাতেন তিনি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতের ফোন থেকে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিকের নম্বর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে থাকা দালালচক্রের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। এই চক্রের মাধ্যমে বহু বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় নথি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে সমীর দাস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি নথি তৈরির প্রক্রিয়া শুধুমাত্র ব্যাখ্যা করেছেন, নিজে কোনও নথি তৈরি করেননি।
গোয়েন্দারা এখন খতিয়ে দেখছেন, ধৃত সমীর দাস কতজনকে এবং কাদের জন্য জাল নথি তৈরি করেছেন। পাশাপাশি, এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশি দালালচক্র এবং তাদের ভারতের নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে ধৃতের মোবাইল এবং অন্যান্য নথি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় পাসপোর্ট জালিয়াতির চক্র নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তদন্তকারীরা চক্রের মূল হোতাদের ধরতে তৎপর। এরমধ্যে পুলিশ প্রাক্তন এক পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এক বছর আগেই অবসর নিয়েছেন। তিনি প্রতিটি পাসপোর্টের ভেরিফিকেশনের জন্য ২৫ হাজার টাকা নিতেন। এখনও লালবাজার চার পুলিশ কর্মীর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠছে।