হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকা থেকে জাল (Fake Documents) নথি তৈরির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। জাল পাসপোর্ট চক্রের (Fake Documents) তদন্তে নেমে ধৃতদের খোঁজ মেলে। ধৃতরা মোটা টাকার বিনিময়ে জাল নথি (Fake Documents) তৈরি করত বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা এখন এই দু’জনের সঙ্গে কোনও বড় চক্রের (Fake Documents) যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম বিশ্বজিৎ দে ও ফাহরুখ আনসারি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জাল নথি তৈরির কাজে যুক্ত। মাধ্যমিকের জাল সার্টিফিকেট, জন্ম সার্টিফিকেট, স্ট্যাম্প পেপারসহ একাধিক সরকারি নথি জাল করে সরবরাহ করত তারা।
মঙ্গলবার, বারাসত থেকে এক মুহুরিকে গ্রেফতার করার পরই টিকিয়াপাড়ায় আরও দুই কারবারির খোঁজ পান গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করে জানা হচ্ছে, তারা কাদের জন্য এবং কত সংখ্যক জাল নথি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, জাল পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় জাল নথি চক্রের ব্যাপকতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধারাবাহিকভাবে চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি চলছে। জাল নথি তৈরির এই চক্র প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দেখছে।
অন্যদিকে, জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে পুলিশ এবার আদালতের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। সমীর দাস নামে বারাসত আদালতের এক মুহুরিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বারাসতের নবপ্লির বাসিদ্ধা। পুলিশ জানিয়েছে, কোন জাল নথি তৈরি করতে কত চার্জ লাগবে, তার নিজস্ব রেট ছিল। সেই মূল্যেই তিনি বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি তৈরি করে দিতেন। তিনি নিজে জাল নথি তৈরির গোটা একটা চক্র চালাতেন। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কারা বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন দরকারি ভারতীয় নথি বানাত তার খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাতেই উঠে আসে সমীর দাসের নাম।