কুলতলিতে (Jaynagar) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে শুক্রবার ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে (Jaynagar) আরজি কর কাণ্ডে বিরোধীদের আরও একবার আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। (Jaynagar) শুক্রবার তিলোত্তমার বাবা-মাকে ‘করজোড়ে’ আবেদন করে বললেন, “আপনারা অন্যের কথায় বিভ্রান্ত না হলে মেয়ের খুনে দোষীসাব্যস্ত ফাঁসির সাজা এতদিনে দেখতে পেতেন।” পাল্টা উত্তর দিলেন তিলোত্তমার বাবা (Jaynagar)।
শুক্রবার বারুইপুর পকসো আদালত ৪ অক্টোবর কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬১ দিনের মধ্যে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। এরপরেই কুণাল ঘোষ বলেন, “কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দৃষ্টান্ত তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২ মাসের মধ্যে শাস্তি দিতে হবে এবং ফাঁসি চাইব। তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়েছে। ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা হল। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের পুলিশ ও আইনি বিভাগ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। যে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে, তার পরিবারকে ন্যায় বিচার দিতে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দেখিয়ে দিল, ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা আদায় করে আনা যায়।” অপরাজিতা বিলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এইরকম অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত শাস্তির জন্যই অপরাজিতা বিল এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু, তা এখন দিল্লিতে পড়ে রয়েছে।”
আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে এনে কুণাল ঘোষ বলেন, “আরজি করের ক্ষেত্রেও একদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে ধরেছিল রাজ্য পুলিশ। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিনারা তো কলকাতা পুলিশই করে দিয়েছিল। সিবিআইয়ের হাতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা ছিল, তাতেই এত দেরি করছে সিবিআই। বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে উঠতে পারল না। আজকে যদি কলকাতা পুলিশের হাতে মামলা থাকত, তাহলে হয়তো আরজি করের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হয়ে যেত। কারণ, আরজি করের ঘটনার অনেক পর কুলতলির ঘটনা ঘটেছে। কুলতলির মামলায় সাজার পর এটা বলা যায়, আরজি করের ঘটনা কলকাতা পুলিশের হাতে থাকলে এতদিনে সাজা ঘোষণা হতে পারত। যাঁরা অতিনাটক করলেন, তাঁরা আসল তদন্তের ক্ষতি করলেন।”
তিলোত্তমার বাবা-মার উদ্দেশে কুণাল বলেন, “আমি তিলোত্তমার বাবা-মাকে করজোড়ে বলব, কুলতলির ঘটনাটা দেখবেন। কাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। আপনারা যদি কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রাখতেন, তাহলে এতদিনে ফাঁসির সাজা হয়ে যেত। তিলোত্তমার ন্যায় বিচার দিতে পারত কলকাতা পুলিশ। কুলতলির আগে তিলোত্তমাকাণ্ডে দোষীর ফাঁসির সাজা হত। কুলতলিতে আস্থা রেখেছে, দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছে। আপনারা যদি কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রাখতেন, তাহলে আপনাদের মেয়ের খুনির ফাঁসির সাজা দেখতে পারতেন।”
এদিকে, এদিন কুলতলির মামলায় ফাঁসির সাজার পর তিলোত্তমার বাবা বলেন, “রাজ্য পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বড় বড় মাথাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। সেজন্য সিবিআই অভিযুক্তদের সামনে আনতে পারেনি। আমাদের আসামি এখনও ধরা পড়েনি। জয়নগরে পুলিশ সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড়ে তৎপর ছিল। আর এখানে সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাটে তৎপর ছিল। সাক্ষ্য প্রমাণ পুলিশ যে লোপাট করেছে, তার প্রমাণ তো টালা থানার তৎকালীন ওসি। তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।”