যুবভারতী-কাণ্ড নিয়ে ফের মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই ঘটনা নিয়ে কেন বারবার রাজনীতি করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বুধবার এক অনুষ্ঠানে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। এই সৌজন্যতা দেশের অন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, কয়েকজনের আচরণ ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার মুখ পুড়েছে। এটা রাজ্যের জন্য মোটেই কাম্য ছিল না। তবে একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেটাও দেখা উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় দুর্ঘটনা বা পদপিষ্টের ঘটনা ঘটলেও গত বহু বছরে কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়নি।
তিনি (Abhishek Banerjee) আরও বলেন, রেলে একের পর এক দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হলেও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে কখনও ক্ষমা চাইতে দেখা যায়নি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও অহংকার বা ঔদ্ধত্য নেই। তিনি বারবার বলেছেন, মানুষের কাছে মাথা নত করতেই হবে। রাজ্য প্রশাসনের কোথাও গাফিলতি হয়েছে, তা স্বীকার করা হয়েছে এবং তার জন্য ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে যারা রাজনীতি করছেন, তারা বাংলাকেই ছোট করছেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক।
এদিন তিনি আরও বলেন, বাংলা ফুটবলের মক্কা হিসেবে পরিচিত। যে আশা ও উৎসাহ নিয়ে দর্শকরা এসেছিলেন, কয়েকজনের আচরণের জন্য তাঁরা হতাশ হয়েছেন। এই ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। এর দায় উদ্যোক্তাদেরই নিতে হবে বলে জানান তিনি।
অভিষেকের সংযোজন, বহু মানুষ পুজোয় জামাকাপড় না কিনে টাকা জমিয়ে মেসিকে দেখার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের রাগ স্বাভাবিক। তবে এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া উচিত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত চলছে। যাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে, তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।









