দুই পুত্র সন্তানের পরেও একটি কন্যা সন্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন দাসপুরের (Daspur) সুমিত পাইন ও তাঁর স্ত্রী মনিকা পাইন। কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এক পরিচিতের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুরের (Daspur) একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সদ্যোজাত একটি কন্যা সন্তানের খোঁজ পান তাঁরা। শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন দম্পতি।
বাড়িতে ‘মেয়ে’ আসতেই যেন উৎসব শুরু হয়ে যায়। সদ্যোজাতের (Daspur) নাম রাখা হয় আরোহী। পাড়ার লোকজনকে মিষ্টি খাওয়ানো হয়। গোটা গ্রামেই ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের খবর। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন টেকেনি।
হঠাৎই বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। তিন দিনের ওই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই শিশুটিকে বাড়িতে এনেছিলেন ওই দম্পতি।
দাসপুর থানার বৈকুন্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমিত ও মনিকার দাবি, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের জন্যই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মনিকার বক্তব্য, যাঁদের কাছ থেকে তাঁরা শিশুটিকে নিয়েছেন, সেই দম্পতি দু’জনেই চাকরিজীবী। তাঁদের আগে থেকেই তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যাঁরা বয়সে অনেকটাই বড়। আচমকা গর্ভধারণ হওয়ায় তাঁরা এবার পুত্র সন্তানের আশা করেছিলেন। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়ায় তাঁরা স্বেচ্ছায় শিশুটিকে তুলে দেন।
অন্যদিকে জেলা চাইল্ড লাইনের আধিকারিক শেখ আজিজুর রহমান জানান, এভাবে কোনও শিশু এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারে দেওয়া যায় না। দত্তক নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সরকারি নিয়ম ও প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই নিয়ম মানা হয়নি বলেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত শিশুটিকে ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।







