৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের(Babri Masjid) শিলান্যাস অনুষ্ঠানের মঞ্চে হঠাৎই নজর কেড়ে নেন আরব ঘরানার পোশাক পরিহিত দুই ব্যক্তি। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে উৎসাহ ও কৌতূহল—কারা এরা? কোথা থেকে এলেন? অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করা হয়, তাঁরা নাকি সৌদি আরব থেকে এসেছেন (Babri Masjid)। কিন্তু ঠিক সেখানেই শুরু বিতর্ক। অনেকে প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা আদৌ সৌদি থেকে আসেননি, এমনকি অন্য রাজ্য থেকেও নন—এরা নাকি মেদিনীপুরের বাসিন্দা! সত্যি কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা ছড়ায়।
এর মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন হুমায়ুন কবীর (Babri Masjid)। নিজের প্রস্তাবিত শিলান্যাস অনুষ্ঠান ঘিরে যখন তুমুল বিতর্ক চলছে, তখন তিনিও দায় সরিয়ে দিতে শুরু করেন। তাঁর দাবি, এই ‘সৌদি অতিথি’ প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানতেন না। সব দায় তাঁর দলেরই এক ব্যক্তি ইউসূফ মৌলানার (Babri Masjid)। হুমায়ুনের কথায়, ইউসূফ তাঁকে জানিয়েছিলেন যে সৌদি-যাত্রার খরচ তুলতে হবে, গুজরাত থেকে লোক আনা হবে। সেই কারণেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর দাবি, ইউসূফ নাকি কাউকে সাজিয়ে-গুজিয়ে সৌদি অতিথি বানিয়ে মঞ্চে বসিয়ে দেন। হুমায়ুন স্পষ্টই বলেন, ‘‘এই ব্লান্ডারটা আমার না।’’
তিনি আরও দাবি করেন, এটি একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। এবং চক্রান্তের নেপথ্যে নাকি রয়েছেন গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তবে সিদ্দিকুল্লা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
অন্যদিকে, বিতর্ক চলতে চলতে জানা যাচ্ছে, হুমায়ুনের প্রস্তাবিত ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণের জন্য তৈরি করা ওয়েস্ট বেঙ্গল ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া-র অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে ২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা। শুধু শিলান্যাসের দিন থেকে পরদিন সন্ধে পর্যন্ত নগদেই এসেছে ৬৫ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের দাবি, হুমায়ুনের পেছনে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূল ও হুমায়ুন মিলেই সাজানো নাটক চলছে!
দুই পক্ষের অভিযোগ-পালটা অভিযোগে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে।







