মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে নতুন বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ৬ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, আর সোমবার সামনে আনা হল মসজিদের নেমপ্লেট। নামাঙ্কিত সেই প্লেটে লেখা— “বাবরি মসজিদ, স্থাপিত ২০২৫, উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবীর।”
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ রেজিনগরে এসে নির্মাণস্থল দেখছেন (Babri Masjid)। কেউ মাথায় করে ইট আনছেন, কেউ আবার অনুদান দিচ্ছেন। এই নির্মাণকে ঘিরে এলাকায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ।
এবার অযোধ্যার বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) একটি ইট রওনা দিল রেজিনগরে। সেই ইট সংরক্ষিত ছিল ডোমকলের একটি মসজিদে। প্রাক্তন সিআরপিএফ জওয়ান আলাউদ্দিন খান ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় সেখানে ডিউটিতে ছিলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি একটি ইট স্মৃতি হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন। বহু বছর ধরে ইটটি তিনি মসজিদে রেখে দেন। এবার সেই ইট তিনি দান করতে চান রেজিনগরে তৈরি হওয়া নতুন মসজিদে। আলাউদ্দিন বলেন, “সেদিন যখন পৌঁছাই, দেখলাম বাবরি মসজিদ আর নেই। একটি ইট ব্যাগে করে বাড়ি এনেছিলাম। সেটাই এবার দিচ্ছি।”
হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে অনুদানের টাকার হিসাব শুরু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো মসজিদ তৈরি করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লাগবে। তবে টাকা নিয়ে চিন্তা নেই— কারণ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দাতা নাকি ইতিমধ্যেই ৮০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন (Babri Masjid)।
নতুন করে বাবরি মসজিদ নির্মাণের এই উদ্যোগ ঘিরে এলাকায় যেমন উচ্ছ্বাস, তেমনই রাজনৈতিক আলোড়নও ক্রমশ বাড়ছে।










