লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে সোমবার শুরু হল বন্দে মাতরম নিয়ে বিশেষ আলোচনা (PM Modi)। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিস্ফোরক বক্তব্য রাখেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই গানের ১৫০ বছর পূর্তিতে তিনি বলেন, বন্দে মাতরমের কিছু স্তবক বাদ দেওয়া হয়েছিল ভুল সিদ্ধান্তে (PM Modi), এবং সেই সিদ্ধান্তের পিছনে ছিল রাজনৈতিক চাপ।
মোদীর (PM Modi) অভিযোগ, তখন মুসলিম লিগ এই গানের বিরোধিতা করেছিল এবং জওহরলাল নেহরু তাঁদের আপত্তির কাছে মাথা নত করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে বন্দে মাতরম মুসলিমদের প্ররোচিত করতে পারে। মোদীর কথায়, এটা গানের প্রতি একপ্রকার ‘বিশ্বাসঘাতকতা’।
১৯৩৭ সালে বন্দে মাতরমের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তবক বাদ দেওয়া হয় (PM Modi)। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই এর বিরোধী। সোমবার সংসদে সেই প্রসঙ্গ ফের তুলে এনে মোদী বলেন, দেশভাগের বীজ রোপণ হয়েছিল তখনই। তিনি আরও বলেন, গান্ধীজি নিজেও বন্দে মাতরমকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গান বলে উল্লেখ করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯০৫ সালে প্রকাশিত ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন পত্রিকায় গান্ধীজি লিখেছিলেন যে এই গান এতটাই জনপ্রিয় যে অনেকের কাছে এটি তখনই জাতীয় সঙ্গীতের মতো হয়ে উঠেছিল।
মোদীর(PM Modi) প্রশ্ন, যখন গান্ধীজি বন্দে মাতরমকে এত সম্মান দিয়েছেন, তখন কংগ্রেস কেন এই গানের প্রতি অন্যায় করল? কেন জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হল না একটি এমন গানে, যা স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক ছিল?
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সংসদে এবং রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাদ পড়া স্তবক নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে এবং তা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে।











