কমেডিয়ান কাপিল শর্মার (Kapil Sharma) কানাডার ‘কাপস ক্যাফে’-তে একাধিকবার গুলিচালনার ঘটনার তদন্তে বড় সাফল্য পেল পুলিশ। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মানসিং সেখন নামে এক যুবককে, যিনি কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডি ধিলনের ঘনিষ্ঠ বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। পুলিশের দাবি, কাপস ক্যাফেতে চালানো গুলিচালনার ষড়যন্ত্রে সরাসরি যুক্ত ছিল মানসিং।
জানা গিয়েছে, গত বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর—এই কয়েকমাসের মধ্যেই অন্তত তিনবার কানাডার সারে-তে অবস্থিত ওই ক্যাফেতে (Kapil Sharma) গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। যদিও প্রতিটি ঘটনাতেই অল্পের জন্য প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। প্রথমবার ১০ জুলাই ক্যাফের (Kapil Sharma) জানালার দিকে লক্ষ্য করে টানা ১০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সেই সময় ভিতরে কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয়বার ২৮ অগস্ট ক্যাফেতে ২৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো বার্তায় হুমকি দিয়ে বলা হয়, ফোন না ধরলে পরবর্তী হামলা হবে মুম্বইয়ে। এরপর কাপিল শর্মার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সর্বশেষ গত ১৬ অক্টোবর ফের গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, একটি গাড়ির জানালা দিয়ে হাত বের করে অন্তত ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হচ্ছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ১০ জুলাইয়ের প্রথম হামলায় Kapil Sharma) ব্যবহৃত অস্ত্র ও গাড়ির বন্দোবস্ত করেছিল মানসিং সেখন। কানাডার পুলিশ ওই গাড়ির পরিচয় শনাক্ত করার পরই চাপ বাড়ে। আগস্ট মাসে সেখন কানাডা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসে। সম্প্রতি দিল্লিতে অস্ত্র পাচার চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর এই নাম উঠে আসে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা সেখনের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি চীনা তৈরি পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
মানসিং সেখনের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। সে সরাসরি গোল্ডি ধিলনের সঙ্গে যুক্ত এবং ধিলন ও কুলদীপ সিধু—দু’জনেই এই গুলিচালনার দায় স্বীকার করেছিল বলে তদন্তে জানা যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রথম হামলার দায় নিয়েছিল হরজিৎ সিং লাড্ডি নামে এক জঙ্গিযোগযুক্ত ব্যক্তি।
এই হামলাগুলি নিয়ে কাপিল শর্মা নিজেও মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিবার গুলি চলার পর ক্যাফেতে ভিড় আরও বেড়েছে।” তবে ধারাবাহিক হামলার পিছনে যে গভীর অপরাধচক্র সক্রিয় ছিল, মানসিং সেখন গ্রেফতারের পর তা আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছে পুলিশ।










