ভোররাতে হোয়াইট হাউস (White House Shooting) সামনে আচমকা গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়াল রাজধানীর বুকে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে সাদা বাড়ির উত্তর পশ্চিম দিকে মাত্র দু’টি ব্লক দূরে কর্তব্যরত ন্যাশনাল গার্ডদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় এক বন্দুকবাজ। গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হন দুই সদস্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে (White House Shooting) ।
ঘটনার (White House Shooting) পরই প্রকাশ্যে আসে হামলাকারীর পরিচয়। জানা গিয়েছে, তার নাম রহমানউল্লাহ লাকনওয়াল। সে আফগানিস্তানের নাগরিক। তালিবান সরকারের একটি সূত্রের দাবি, প্রাক্তন আফগান প্রধানমন্ত্রী আশরফ গনি প্রশাসনের সময়ে বিশেষ একটি সামরিক ইউনিটে যোদ্ধা ছিল রহমানউল্লাহ (White House Shooting) । ওই ইউনিটটি মূলত তালিবান বিরোধী অভিযান চালাত এবং সেই বাহিনীর প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।
তালিবান কাবুল দখল করার সময় বহু আফগান নাগরিককে উদ্ধার করে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময়ই আমেরিকায় আসে রহমানউল্লাহ (White House Shooting) এবং তখন থেকেই সে সেখানে বসবাস করছিল। তবে কী কারণে হঠাৎ সে এই হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এর পিছনে মানসিক অবসাদ, আক্রমণাত্মক আচরণ বা অন্য কোনও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ওই বিশেষ ইউনিটের বহু প্রাক্তন সদস্য এখন নানা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে, আবার কেউ অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। রহমানউল্লাহও কি সেই মানসিক সমস্যার শিকার, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে (White House Shooting) ।
বৃহস্পতিবার ভোরে আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু হতেই পালটা জবাব দেয় কর্তব্যরত ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী। সেই গুলিতেই আহত হয় অভিযুক্ত বন্দুকবাজ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহত দুই নিরাপত্তারক্ষী।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রাক্তন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজের সমাজমাধ্যমে লেখেন, এই নির্মম ঘটনায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। যারা এই ধরনের আক্রমণ চালায়, তাদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আমেরিকার মতো কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত জায়গায় এমন হামলায় নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে একজন বন্দুকবাজ এত কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়েই এখন তদন্তকারীদের মাথাব্যথা।







