নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা হলেও এখনও পর্যন্ত উত্তর মেলেনি বহু মানুষের। সেই অবস্থাতেই বিশেষ নিবিড় সংশোধনের মধ্যে পড়ে বাড়ছে তাঁদের উদ্বেগ। আবেদন ঝুলে থাকলে ভোটার তালিকায় নাম থাকবে কীভাবে, এই প্রশ্ন তুলেই এবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী পয়লা ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
যাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন এবং সেই সংক্রান্ত রসিদ হাতে রয়েছে, তাঁদের দাবি ছিল, যতদিন চূড়ান্ত উত্তর না আসে, ততদিন এই রসিদকেই সংশোধনের সময় বৈধ নথি হিসেবে ধরা হোক (Supreme Court)। এই দাবিতেই আগে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করে দেয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কোনও নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেক আবেদনকারীর নাগরিকত্বের বিষয় আলাদা আলাদা ভাবে বিচার করতে হবে। তাই একটি রায়ে সকলের জন্য এক নির্দেশ জারি করা যায় না। শুনানির সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবও আশ্বাস দেন, মামলার সঙ্গে যুক্ত আবেদনকারীদের বিষয় দশ দিনের মধ্যে বিবেচনা করা হবে। তবে একই সঙ্গে এটাও জানানো হয়, দেশের অন্য আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রযোজ্য হবে না।
এই রায়ের পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে আবেদনকারীদের তরফে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়। তাঁদের বক্তব্য, নাগরিকত্বের উত্তর ঝুলে থাকা অবস্থায় যদি ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে তা ফেরানো কঠিন হয়ে যাবে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই শুরু হয়েছে আইনি লড়াই।
এখন সব নজর পয়লা ডিসেম্বরের দিকে। শীর্ষ আদালতের রায়ে কি নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের আশার আলো দেখা যাবে, নাকি আরও জটিল হবে ভোটাধিকার ভবিষ্যৎ—এই প্রশ্নেই তাকিয়ে গোটা দেশ।













