ইতিহাস গড়ে দৃষ্টিহীনদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের মেয়েরা (Blind women cricket team)। নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত থেকেই দৃষ্টিহীনদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত। এর ঠিক ২১ দিনের মধ্যেই ফের বিশ্বজয়ের মুকুট উঠল ভারতীয় মেয়েদের (Blind women cricket team) মাথায়। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর বৃহস্পতিবার বিশ্বজয়ী দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সংবর্ধিত হলেন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারেরা (Blind women cricket team)।
হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারত যখন মূল ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখনও তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার দৃষ্টিহীন মেয়েদের বিশ্বজয়ের পরেও সেই আবেগী মুহূর্ত ফিরে এল। টিমের ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের সই করা একটি ব্যাট উপহার দেন (Blind women cricket team)। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী নিজের সই করা একটি ক্রিকেট বল তুলে দেন তাঁদের হাতে। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের লাড্ডু খাইয়ে দেন তিনি। প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন, ছবি তোলেন এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বিশ্বজয়ের পর সোমবার আগেই সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় দলকে (Blind women cricket team) শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছিলেন, দৃষ্টিহীন মহিলাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে এই সাফল্য এসেছে কঠোর পরিশ্রম, জেদ আর দলগত লড়াইয়ের মাধ্যমে। তোমরা সবাই চ্যাম্পিয়ন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কলম্বোর P Sara Oval-এ অনুষ্ঠিত ফাইনালে নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি নিশ্চিত করে ভারত। দেশের কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, দিল্লি, অসম এবং বিহার—এই নয়টি রাজ্য থেকে মোট ১৬ জন ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। স্কুল শিক্ষক, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সংগঠন ও কমিউনিটি ক্যাম্প থেকেই ধীরে ধীরে ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়।
দলের ম্যানেজার শিখা শেঠির কথায়, বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই গ্রামীণ পটভূমি থেকে উঠে এসেছেন। ভাষাগত সমস্যা ছিল, সামাজিক বাধাও ছিল প্রবল। তবু সব প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে তাঁরা শুধু খেলছেনই না, আজ গোটা দেশকে গর্বিত করছেন। মাঠে তাঁদের লড়াই এখন কেবল ক্রিকেট নয়, তা হয়ে উঠেছে প্রেরণার গল্প।













