এসআইআর নিয়ে এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দোরগোড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনের চিঠির জবাব দিয়ে কমিশনের তরফে শুক্রবার সকাল ১১টায় বৈঠকের সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে ডেরেক ইমেলের মাধ্যমে কমিশনের কাছে বৈঠকের অনুরোধ জানাতেই দ্রুত উত্তর পাঠায় কমিশন (Election Commission)। জানিয়ে দেয়, এসআইআর চলাকালীন সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ওপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে তারা, তাই তৃণমূলের বক্তব্যও শুনতে প্রস্তুত নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ (Election Commission)।
এবার চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠাবে তৃণমূল (Election Commission)। পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে, আরও চারটি রাজনৈতিক দলও বৈঠকে যোগ দেবে, যদিও তাদের নাম প্রকাশ করেনি। ভোটের মুখে এই বৈঠক ঘিরেই জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজ়া।
এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছিলেন CEC (Election Commission) জ্ঞানেশ কুমারকে। চিঠিতে তীব্র প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের সিইও দফতরের প্রস্তাব নিয়ে—কীভাবে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ১,০০০ চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও ৫০ সফটওয়্যার ডেভেলপার নিয়োগের প্রস্তাব গেল কমিশনের কাছে? মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল চুক্তিভিত্তিক কর্মী, এমনকি বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের দিয়েও কোনও ভোট সংক্রান্ত কাজ করানো যাবে না। তাহলে এই প্রস্তাব উঠল কোথা থেকে?
মমতা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও বেসরকারি ভবনে ভোটকেন্দ্র করা চলবে না। সরকারি বা আধা-সরকারি জায়গাই ভোটের উপযুক্ত ক্ষেত্র।
এসআইআর-এর তদন্ত, ডেটা অপারেটর নিয়োগ, ভোট কেন্দ্র নির্বাচন—সব মিলিয়ে ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি। শুক্রবারের বৈঠকেই তৈরি হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত। এখন নজর দিল্লির নির্বাচনী ভবনে—তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কী বলেন, আর কমিশন কী নির্দেশ দেয় তাই দেখার।













