দিল্লির লালকেল্লার সামনে হওয়া বিস্ফোরণ নিয়ে যত দিন যাচ্ছে, তদন্ত ততই ঘনীভূত হচ্ছে। এবার পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ল পুলওয়ামার এক ইলেকট্রিশিয়ান—তুফাইল আহমেদ (Delhi blast)। প্রথম দর্শনে সাধারণ যুবক। কিন্তু তদন্তে সামনে এসেছে বিস্ফোরণের নেপথ্যে কাজ করা জইশ-ই-মহম্মদ চক্রের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ। সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে যখন গোয়েন্দারা খুঁজে পেয়েছেন—জইশের ‘ডাক্তার মডিউল’-এর সঙ্গে তুফাইলের লেনদেনের স্রোত (Delhi blast)।
শনিবার স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ও জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ যৌথভাবে পুলওয়ামা থেকে তুফাইলকে আটক করে (Delhi blast)। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান হলেও তাঁর কার্যকলাপ পুলিশের কাছে বহুদিন ধরেই সন্দেহজনক ছিল। শ্রীনগরে আত্মীয়দের কাছে যাতায়াতের সূত্র ধরেই তুফাইলের বিরুদ্ধে প্রথম তথ্য আসে। এরপরই জানা যায়, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে সে নাকি গোপনে জইশের মডিউলকে অস্ত্র এবং সরঞ্জাম জোগাড়ে সাহায্য করত (Delhi blast)।
সূত্রের দাবি, জইশের ‘ডক্টর-টার্ন্ড-টেররিস্ট’ উমর নবির কাছে একটি AK-47 পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তুফাইলের (Delhi blast)। লালকেল্লার সামনে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, সেই পরিকল্পনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন উমর। তদন্তকারীদের মতে, অনন্তনাগের সরকারি হাসপাতালে ডঃ আদিলের লকারে যে AK-47 পাওয়া গিয়েছিল, সেটিও তুফাইলের মাধ্যমেই পৌঁছেছিল। অস্ত্রটির উৎস পাকিস্তানে থাকা এক হ্যান্ডলার, যিনি এখনও পলাতক।
এই ঘটনার যেই দিকটি সবচেয়ে উদ্বেগের, তা হচ্ছে ‘হোয়াইট কলার জঙ্গি’দের সক্রিয় ভূমিকা। জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ ইতিমধ্যেই কুলগামের চিকিৎসক মুজাফ্ফর আহমেদ রাঠোরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযোগ, ডঃ মুজাফ্ফর ছিলেন জইশ হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রধান সেতু। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে—গত অগস্ট মাসেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। সন্দেহ, এখন তিনি আফগানিস্তানে লুকিয়ে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে (Delhi blast)।
তদন্তে একের পর এক নয়া তথ্য সামনে আসায় আরও কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। কোথা থেকে অস্ত্র এল, কারা সরবরাহ করল, কী ভাবে দিল্লির মতো সংবেদনশীল জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো গেল—এই সব প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজছে পুলিশ। তবে গোটা ঘটনায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—একজন ইলেকট্রিশিয়ানের পরিচয়ের আড়ালে কত বড় জঙ্গি নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল? দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে তুফাইলের গ্রেফতার সেই প্রশ্নকেই আরও তীব্র করেছে।












