টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য শেষ পর্যন্ত বড় স্বস্তির খবর দিল হাইকোর্ট (TET)। প্রাথমিক টেটের প্রশ্নে যে ভুল ছিল, তা স্বীকার করে আদালত জানিয়ে দিল—মামলা করুক বা না করুক, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর পেতে চলেছেন। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর আদালতে এই মামলার শুনানি হয়, যেখানে আদালত-নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই বিচারপতি এই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন (TET)।
২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট—দুটো পরীক্ষাতেই একাধিক প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ নিয়েই আদালতে মামলা হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট—“টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন থাকলে তার নম্বর সবারই প্রাপ্য (TET)। শুধুই মামলা করাদের নয়, যাঁরা আদালতে আসেননি, তাঁরাও সমানভাবে সেই নম্বর পাবেন।”
তবে ঠিক কত নম্বর দেওয়া হবে, কোন পদ্ধতিতে তা বরাদ্দ করা হবে—সেই সিদ্ধান্ত জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী সোমবার আদালতে পর্ষদ তাদের অবস্থান জানাবে, তার পরই দেওয়া হবে চূড়ান্ত নির্দেশ (TET)।
২০১৭ সালের টেট-এ ২৩টি এবং ২০২২ সালের টেট-এ ২৪টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করেছিল।
এদিকে সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি। ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—টেট প্রশ্ন ভুলের মামলা এখনো বিচারাধীন, তবু কেন তড়িঘড়ি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি? এই নিয়েও আদালতে প্রশ্ন ওঠে।
এই নিয়োগে মোট ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদে শিক্ষক নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এবার জেলা-ভিত্তিক পোস্টিংয়ের তালিকাও প্রকাশ করবে পর্ষদ। সূত্রের খবর, শিক্ষক-প্রার্থীরা যেন তাঁদের নিজের জেলাতেই চাকরি পান, সেই লক্ষ্যেই আবেদনপত্রে জেলাভিত্তিক পছন্দ জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।










