আজ সকাল ঠিক ১০টা ৯ মিনিটে আচমকাই কেঁপে উঠল কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিশাল অংশ। টানা প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়, যা অফিস টাইমে হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে (Earthquake)। বহু বহুতল অফিস, সরকারি দফতর, ব্যাংক—সব জায়গা থেকেই কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ান।
মৌসম ভবনের প্রাথমিক তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশে—ঢাকা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে নরসিংডি এলাকায় (Earthquake)। ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎসস্থল হওয়ায় কম্পন স্বভাবতই খুব জোরাল হয় এবং বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে এই কম্পন অত্যন্ত তীব্র হিসেবে অনুভূত হয়েছে। ঢাকা, চাঁদপুর, নীলফামারী, সীতাকুণ্ড, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, বগুড়া, মৌলবীবাজার—সব জায়গাতেই মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন (Earthquake)।
পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, নদিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুরসহ উত্তর–দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় মাটির নড়াচড়া স্পষ্ট অনুভূত হয়। শহরের বিভিন্ন বহুতলে আলো–পাখা দুলতে দেখে অনেকে দ্রুত নিচে নেমে আসেন। কয়েক জায়গায় লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয় নিরাপত্তার স্বার্থে।
হঠাৎ কম্পনের জেরে শহরজুড়ে কয়েক মিনিটের জন্য তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ। কলকাতা পুলিশের ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। কোথাও বড় ক্ষতির খবর না মিললেও মানুষে মানুষে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশেই কেন্দ্রস্থল হওয়ায় এ অঞ্চলে কম্পন বিশেষভাবে অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎসস্থল যত অগভীর হয়, কম্পন তত বেশি জোরে অনুভূত হয়, ঠিক তেমনটাই ঘটেছে আজ সকালে।











