এসআইআর শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক বিস্ময়কর অভিযোগ সামনে আসছে (SIR)। কোথাও শতবর্ষী ভোটারের নাম নেই তালিকায়, কোথাও জীবিত মানুষকে দেখানো হচ্ছে মৃত। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোপালগঞ্জ থেকে উঠে এল আরও অদ্ভুত অভিযোগ—এক জীবিত মহিলাকে মৃত দেখিয়ে তাঁকে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়নি (SIR)। সেই অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলার বাবা Shahdul Laskar।
অভিযোগ আরও ভয়ঙ্কর। মামলাকারী শাহদুল দাবি করেছেন, স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী, যার নামও শাহদুল লস্কর, তাঁর মেয়ের নামে ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, ওই ভুয়ো মৃত্যুকে দেখিয়ে সরকারি সুবিধাও নিচ্ছেন সেই তৃণমূল নেতা—এমনটাই আদালতে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। ফলস্বরূপ, জীবিত মেয়ের আধার কার্ড, রেশন কার্ড, এমনকি অন্যান্য নথিও বাতিল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে পুরো পরিবার বিপাকে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতেই আদালতের শরণাপন্ন হন বাবা। বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে মামলার শুনানির পর আদালত নির্দেশ দেয়, ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে মেয়ের পুরনো ভোটার কার্ড ও অন্যান্য সরকারি নথি স্বাভাবিক নিয়মে চালু করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আদালতের হস্তক্ষেপে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মানসিক যন্ত্রণা কাটছে না পরিবারটির ((SIR))।
এসআইআর নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি দিন দিন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ভুলভ্রান্তি, আতঙ্ক ও আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও সামনে এসেছে। দু’জন বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেছেন—এত কম সময়ের মধ্যে এত সংবেদনশীল কাজ শেষ করতে গেলে বিপুল ভুল হবে, ভুক্তভোগী হবেন সাধারণ মানুষই। প্রতিদিনের নতুন অভিযোগ সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করছে।











