দিল্লির বুকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর রাজধানী এবং কাশ্মীর—দুই জায়গাতেই তল্লাশি চলে টানা কয়েকদিন। তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই পরিষ্কার হয়েছে যে এটি কোনও সাধারণ সন্ত্রাসী মডিউল নয়, বরং প্রযুক্তি-বোদ্ধা একটি ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি নেটওয়ার্ক, যারা দেশের চোখ ফাঁকি দিতে ব্যবহার করত আধুনিক এনক্রিপ্টেড অ্যাপ, খাদ্যের নামে কোড-ওয়ার্ড এবং জটিল যোগাযোগ-পদ্ধতি (Delhi Blast)।
তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে—টেলিগ্রাম অ্যাপে এই মডিউলের সদস্যরা “বিরিয়ানি” শব্দটি ব্যবহার করত বিস্ফোরক বোঝাতে, আর “দাওয়াত” মানে ছিল আসন্ন হামলা (Delhi Blast)। এমনকী হামলার ঠিক আগে তারা টেলিগ্রামে লিখেছিল— “বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য প্রস্তুত থাকুন।” এই বার্তা থেকে গোটা দেশের গোয়েন্দা মহলে নেমে এসেছে নতুন আতঙ্ক (Delhi Blast)।
এই নেটওয়ার্কের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সামনে এসেছে শোপিয়ানের বাসিন্দা ইমাম ইরফান আহমেদের নাম (Delhi Blast)। অভিযোগ, চিকিৎসকদের মধ্যে মৌলবাদী ভাবধারা ছড়িয়ে তিনি তাদের সন্ত্রাসের পথে টেনে এনেছিলেন। ধৃত ডাক্তারদের জেরা করেই এই তথ্য উঠে এসেছে বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি।
এর পাশাপাশি আরেকটি ভয়ঙ্কর দিক ধরা পড়েছে। সিগন্যাল অ্যাপে একটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করে চলত জইশ-এ-মহম্মদের ফিদায়েঁ মডিউলের যোগাযোগ (Delhi blast)। গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল আদিল আহমেদ রাথরের ভাই মুজাফ্ফর রাথর—যাকে এই মডিউলের মাথা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গ্রুপে যুক্ত ছিল বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম চক্রী উমর, চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথর এবং শাহিন শাহিদ।
উমরই সেখানে নিয়মিত দিতেন বিস্ফোরক তৈরির আপডেট। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে শুরু করে TATP — কোন রাসায়নিক কত পরিমাণে কেনা হয়েছে, কোথা থেকে আনা হয়েছে, পরবর্তী ধাপ কী—এসব তথ্য প্রতি মুহূর্তে পাঠানো হত ওই গোপন গ্রুপে।
তদন্তকারীরা এখন সেই বার্তাগুলি এক এক করে বিশ্লেষণ করছেন। দেশের ভেতরে এমন উচ্চশিক্ষিত, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর জঙ্গি নেটওয়ার্ক কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল—এ প্রশ্ন এখন গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার সামনে বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।











