কেউ আত্মসমর্পণ করেছেন, কেউ জঙ্গলেই পুলিশের গুলিতে খতম হয়েছেন (Naxal Leader)। কিন্তু মাওবাদী সংগঠনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মুখ মাডবী হিডমার খোঁজই মিলছিল না এতদিন। দান্তেওয়াড়া থেকে সুকমা—কমপক্ষে ২৬টি ভয়াবহ সশস্ত্র হামলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে (Naxal Leader)। মাথার দাম ৫০ লক্ষ টাকা। শেষ পর্যন্ত সেই রহস্যময় নেতাকে মারে দুমিল্লির জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে খতম করল অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ভয়ানক সংঘর্ষে হিডমা-সহ ছ’জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ (Naxal Leader)।
সকালে ছত্তীসগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তের গভীর জঙ্গলে হঠাৎই শুরু হয় গুলির লড়াই (Naxal Leader)। অন্ধ্র প্রদেশের ডিজিপি হরিশ কুমার গুপ্তা জানান, নির্দিষ্ট সূত্র ধরে অভিযান চালাতেই মাওবাদীরা পাল্টা গুলি চালায়। তাতেই নিহত হয় সংগঠনের শীর্ষনেতা হিডমা। সঙ্গীদের কাছে দেবা বা হিডমালু নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে খুব অল্প বয়সেই মাওবাদী দলে যোগ দেন। তারপর থেকে একের পর এক রক্তাক্ত হামলার নেপথ্যে উঠে আসে তাঁর নাম (Naxal Leader)।
২০১০ সালের দান্তেওয়াড়ার ভয়ঙ্কর হামলায় যখন আধাসামরিক বাহিনীর ৭৬ জন জওয়ান প্রাণ হারান, তদন্তে উঠে আসে হিডমার ভূমিকাই। আবার ২০১৩ সালের ঝিরাম ঘাটির হত্যালীলা—২৭ জন রাজনৈতিক নেতা-সঙ্গীদের মৃত্যু—সেখানেও হিডমাই মূল পরিকল্পনাকারী বলে দাবি তদন্তকারী দলের (Naxal Leader)। ২০২১ সালে সুকমা-বীজাপুরে ২২ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনাতেও তাঁর নামই সামনে আসে।
এদিকে কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী-মুক্ত দেশ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অমিত শাহ আগেই জানিয়েছিলেন, অধিকাংশ মাওবাদী মূলস্রোতে ফিরেছেন, আর যে ক’জন বাকি রয়েছেন তারাও লড়াইয়ে ধ্বস্ত হচ্ছে (Naxal Leader)। দেশের মাত্র ১১টি জেলায় তাদের উপস্থিতি সীমাবদ্ধ বলে দাবি কেন্দ্রের। তাই হিডমার মৃত্যু যে মাওবাদী সংগঠনের জন্য বড় ধাক্কা, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনের সবচেয়ে শক্তিশালী “অস্ত্র” ছিল হিডমা। তাঁর মৃত্যু মাওবাদীদের মেরুদণ্ড প্রায় ভেঙে দিতে পারে। ফলে মাওবাদী-মুক্ত ভারত গড়ার পথ আরও সহজ হল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।











