দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চমক সামনে আসছে। NIA-র হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক চিকিৎসককে আটক করা হচ্ছে (Delhi Blast)। গোয়েন্দাদের দাবি, এরা শুধু ডাক্তার নন—একটি সুপরিকল্পিত নেটওয়ার্কের অংশ। আর সেই নেটওয়ার্ক যোগাযোগ রাখত এমন এক পদ্ধতিতে, যা বহু বছর আগের গুপ্তচরদের কৌশলের হুবহু অনুকরণ। নাম—‘ডেড ড্রপ’ (Delhi Blast)।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন জঙ্গি ডাক্তাররা কোনও এনক্রিপ্টেড অ্যাপ নয়, বরং ব্যবহার করতেন একেবারে সাধারণ ই-মেল (Delhi Blast)। কিন্তু পদ্ধতি ছিল অস্বাভাবিক। একটি মাত্র ই-মেল আইডি, যার পাসওয়ার্ড জানত পুরো নেটওয়ার্ক। সেখানে কেউ কাউকে ই-মেল পাঠাত না। কেউ ‘সেন্ড’ চাপত না। শুধু ‘ড্রাফটে’ লিখে রেখে যেত বার্তা। কোনও দিন, কোনও সময়, নেটওয়ার্কের অন্য সদস্য সেই ড্রাফট খুলে পড়ত, সম্পাদনা করত, পরে মুছে দিত। তার ফলে তৈরি হত না কোনও সাধারণ ডিজিটাল ট্রেইল (Delhi Blast)।
গোয়েন্দাদের মতে, লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পরিকল্পনাও এভাবেই গড়েছিল (Delhi Blast)। এই একই কৌশল ব্যবহার করেছিলেন ৯/১১ হামলাকারীরা। মাদ্রিদের ২০০৪-এর বোমা হামলাতেও ব্যবহৃত হয়েছিল এরকম ড্রাফট-ভিত্তিক যোগাযোগ (Delhi Blast)। আর সেই সূত্রেই সন্দেহভাজন উমর, মুজাম্মিল ও শাহীনদের কার্যকলাপ নিয়েও নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
কিন্তু কোথা থেকে এল এই ‘ডেড ড্রপ’-এর ধারণা? গোয়েন্দাদের মতে, এর শিকড় ঠাণ্ডা যুদ্ধের গুপ্তচরবৃত্তিতে (Delhi Blast)। সে সময়ে ই-মেল ছিল না, কিন্তু পদ্ধতি একই—দুই গুপ্তচর একই জায়গায় যেতেন, মুখ না মিলিয়ে বসতেন। একজন দরকারি তথ্য কাগজে লিখে রেখে চলে যেত। অন্যজন পরে এসে তুলে নিত সেই বার্তা। কোনও কথোপকথন নয়, দেখা-সাক্ষাৎ নয়—মুহূর্তটির কোনও প্রমাণই থেকে যেত না।
ঠিক সেই কোল্ড ওয়ার কৌশলই এখন ডিজিটালের যুগে রূপ বদলে ফিরে এসেছে ‘ডেড ড্রপ ই-মেল’ নামে। মুম্বই হামলার পরিকল্পনার সময় ডেভিড হেডলিও একই ধাঁচের পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি।
দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে এই নতুন সূত্র পাওয়ার পর গোয়েন্দারা আরও সতর্ক। তাঁরা বলছেন, এই নেটওয়ার্ক ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত, প্রশিক্ষিত এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে দক্ষ। এবং এই নেটওয়ার্কের ছায়া যে দেশের চিকিৎসা-পরিমণ্ডলেও ছড়িয়ে পড়েছিল, তা এখন পরিষ্কার হয়ে উঠছে।













