লালকেল্লার বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ পেরোতেই ফের দিল্লি কাঁপল বোমাতঙ্কে (Bomb threat)। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় ছুটে আসে বম্ব স্কোয়াড। একের পর এক আদালত ও স্কুলে পৌঁছায় হুমকিচিঠি। আদালতগুলোকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু আদালত নয়, রাজধানীর একাধিক স্কুলকেও দেওয়া হয়েছে একই ধরনের হুমকি (Bomb threat)।
গত ১০ নভেম্বর দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত চলছে, একের পর এক সন্দেহভাজন গ্রেফতার করা হয়েছে (Bomb threat)। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে দিল্লির চারটি আদালতকে বোমায় উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসে। আদালতের মধ্যে সকেত কোর্ট ও পাতিয়ালা কোর্ট বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু। নিরাপত্তার কারণে কোর্টের সব কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা কোর্ট ফাঁকা রাখা হয়, কর্মীদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়, মধ্যাহ্নভোজের পর পুনরায় কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে (Bomb threat)।
দ্বারকা এবং প্রশান্ত বিহারের সিআরপিএফ স্কুলেও একই সময়ে হুমকিচিঠি পৌঁছেছে। সকাল ৯টার দিকে দিল্লি ফায়ার সার্ভিসে ফোন করা হয়, যার মধ্যে এই স্কুলগুলির বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্কুলে পড়ুয়া এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয় (Bomb threat)।
এই ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে আজই প্রকাশ্যে এসেছে উমর নবির শেষ ভিডিয়ো (Bomb threat)। ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণে উমরের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এই ভিডিয়োতে উমরকে বলতে শোনা যাচ্ছে আত্মঘাতী হামলার ব্যাখ্যা। তিনি বোঝাচ্ছেন, আত্মঘাতী বোমা মানে আত্মহত্যা নয়, বরং শহিদ হওয়ার অংশ। তবে এইদিনের হুমকি চিঠি কোথা থেকে এসেছে, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, সূত্র অনুসারে গোয়েন্দারা খুঁজছেন হুমকির উৎস এবং আসল উদ্দেশ্য।
রাজধানী ফের উত্তপ্ত। আদালত ও স্কুল খালি করা, বম্ব স্কোয়াড তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারি—all চলছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে, নিরাপত্তা দপ্তর সতর্ক।













