এসআইআর প্রক্রিয়ার মাঝেই আবারও নয়া নির্দেশিকা দিয়ে চাপে ফেলল নির্বাচন কমিশন। এবার এনুমারেশন ফর্মে ভোটারদের জমা দেওয়া ছবি যদি স্পষ্ট না হয়, তাহলে সেই বাড়িতে গিয়ে সরাসরি ছবি তুলতে হবে বিএলও-দেরই (BLO)। শুধু তোলা নয়, কমিশনের নির্দেশে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করেই আপলোড করতে হবে সেই ছবি। ভুল তথ্য যাচাই হলে দায় চাপবে সরাসরি মাঠে থাকা কর্মীদের ঘাড়েই। নকল বা ভুয়ো ভোটারের ছড়াছড়ি ঠেকাতে কমিশন এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI প্রযুক্তিকেও নামাচ্ছে কাজে। স্বভাবতই বিএলও-দের একাংশের দাবি— প্রতিদিন নতুন নিয়মে কাজের চাপ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তা সামলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে (BLO)।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, এনুমারেশন ফর্মে ভোটারদের পাঠানো ছবিগুলি একেবারেই অস্পষ্ট। কখনও মুখ দেখা যাচ্ছে না, কখনও ফটো অন্ধকার। অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন হোয়াটসঅ্যাপে বিএলও-দের কাছে নতুন নির্দেশ পাঠায়— এবার ছবিগুলি স্ক্যান করে মিলিয়ে দেখতে হবে অ্যাপের সাহায্যে (BLO)। ৯ ডিসেম্বরের পর AI সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি যাচাই করবে কমিশন, যাতে বোঝা যায় কেউ ভুয়ো ছবি জমা দিচ্ছেন কি না। ডিজিটাল মিলিয়ে দেখা, ছবি স্ক্যান, অ্যাপ আপলোড— সবকিছুই করতে হবে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের (BLO)।
বিএলও-দের (BLO) ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। তাঁদের দাবি, প্রশিক্ষণের সময় এই প্রযুক্তিগত কাজের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ফর্ম সংগ্রহ ও ফর্ম জমা— শুধু এই নিয়মগুলি শিখিয়েছিল কমিশন। এখন ফর্ম ডিজিটাইজেশন থেকেও শুরু করে ছবি স্ক্যান, অ্যাপ ব্যবহার— সব দায়িত্বই এসে পড়েছে তাঁদের কাঁধে। ফলে একেকটি ফর্ম করতে সময় লাগছে বহুগুণ। এত কম সময়ে এত বিশাল কাজ শেষ করা তাঁদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব বলেই অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিএলও-দের বিক্ষোভের ছবিও সামনে এসেছে।













