দিল্লির ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে ১৪ জনের মৃত্যু—এর ঠিক এক সপ্তাহ পর নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (Delhi blast)। কাশ্মীরের ক্বাজিগুন্ডের বাসিন্দা যাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে ড্যানিশকে এবার গ্রেপ্তার করল এনআইএ। শ্রীনগর থেকেই তাকে তুলে আনে তদন্ত দল। তদন্তকারীদের দাবি, এই যাসিরই দিল্লির রেড ফোর্টের কাছে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণের অন্যতম মূল চক্রীর সঙ্গী; আর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল কুখ্যাত সন্ত্রাসী উমর উন নবি (Delhi Blast)।
সূত্রের খবর, উমর শুধু বিস্ফোরণের পরিকল্পনাই করেনি—যাসিরকে নাকি সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল ‘ফিদায়েন’, অর্থাৎ আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে। দু’জনের প্রথম দেখা হয়েছিল কাশ্মীরের একটি মসজিদে (Delhi blast)। সেখানেই ড. উমর তাকে প্রভাবিত করে, মাথায় ঢুকিয়ে দেয় আত্মঘাতী আক্রমণের কথা। তদন্তকারীরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে এই যুবককে মগজধোলাই করে হামলার পরিকল্পনায় নামানো হয়।
এনআইএ-র প্রাথমিক তদন্তে আরও বেরিয়ে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য (Delhi BLast)। যাসির নাকি প্রযুক্তিগত সমর্থনও দিত সন্ত্রাসী দলে—ড্রোন বদলে দেওয়া, রকেট তৈরির চেষ্টা, বিস্ফোরণ ঘটানোর কৌশল—সবেতেই তার হাত ছিল বলে সন্দেহ। এই সব কাজ হয়েছিল রেড ফোর্টের কাছে ঘটানো মারাত্মক গাড়িবোমা হামলার আগের কয়েক সপ্তাহে।
তিন দিন আগে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যাসিরকে আটক করে। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা—যাসিরের বাবা, যিনি শুকনো ফল বিক্রি করে সংসার চালাতেন, চরম মানসিক চাপে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, তদন্তকে ঘিরে অসংখ্য প্রশ্নও উঠছে।
এনআইএ ইতিমধ্যেই বহু প্রত্যক্ষদর্শী, আহত মানুষসহ ডজনের বেশি সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। একাধিক রাজ্যের পুলিশ—দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ—এবং কেন্দ্রীয় ইউনিটদের সঙ্গে জোট বেঁধে চলছে তল্লাশি। তদন্তকারীদের মতে, চক্রান্ত এখানেই শেষ নয়। উমর ও যাসিরের বাইরে আরও বড় নেটওয়ার্ক কাজ করেছে। সেই ছায়া-চক্রের খোঁজ এখন তদন্তে প্রধান লক্ষ্য।
এনআইএ বলছে, কারা পরিকল্পনা করেছে, কারা লজিস্টিক জুগিয়েছে, কোথা থেকে অর্থ এসেছে—সব ফাঁস হওয়া দরকার। রেড ফোর্ট বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত একটিও নাম যেন বাদ না যায়, সেটাই এখন সংস্থার অঙ্গীকার।











