SLST-এর নতুন চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সোমবার থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা (ssc protest)। সকাল থেকেই করুণাময়ী, বিকাশ ভবন থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল পার্ক চত্বর—সব জায়গায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নবপরীক্ষার্থীরা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিরুদ্ধেই মূলত রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা (ssc protest)। তাঁদের অভিযোগ, এই নিয়মের জেরে অন্যায্যভাবে বহু যোগ্য পরীক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই কোনওভাবেই তাঁরা এই নীতিকে মানতে রাজি নন।
করুণাময়ী থেকে যখন মিছিল এগোতে থাকে বিকাশ ভবনের দিকে, ঠিক তখনই ময়ূখ ভবনের সিগন্যালের কাছেই চাকরিপ্রার্থীদের আটকায় পুলিশ (ssc protest)। শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। পুলিশ বহু আন্দোলনকারীকে চ্যাংদোলা করে সরিয়ে দেয়। দুপুরের গরম রাস্তায় বসেই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কন্ঠে শোনা যায় ক্ষোভ, হতাশা, অবমাননার সুর।
এক আন্দোলনকারী ক্ষোভে বলেন, “এই রাজ্যে জন্মানোই লজ্জা। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ফাঁসি দিয়ে দিলেই ভালো। বাঁচার কোনও রাস্তা রাখছেন না (ssc protest)। বছর বছর আমরা এই অপমানের শিকার হচ্ছি। হবু শিক্ষককে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়া—এটাই কি আমাদের ভবিষ্যৎ?”
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থাকা বহু মহিলা চাকরিপ্রার্থীও অভিযোগ করেন, তাঁদের টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে তুলে দিয়েছে পুলিশ। তাঁদের কথায়, “আজ টেনে সরিয়ে দিল। কাল চাকরি না পেয়ে আবার রাস্তায় নামলে তখন কী করবে? আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। অথচ আমাদেরই অপমান করা হলো। আমরা কি মানুষ নই?”
আরেক তরুণ চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আন্দোলন সবে শুরু। এখানে আটকালে অন্য জায়গায় হব। এই সরকার কত জনকে আটকাবে? গোটা রাজ্যজুড়ে পথেই আন্দোলন হবে। আমরা সরব—চাকরি পাই বা না পাই।”
আন্দোলনের আওয়াজ আরও তীব্র হয়ে ওঠে যখন এক প্রার্থী বলেন, “রাজ্যের পুলিশ দলদাস হয়ে গেছে। চটিচাটা পুলিশ ছাড়া কিছুই নয়। যাদের ধরার কথা—চাকরি চুরির মূল হোতা, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা—তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ আমরা যারা অন্যায়বঞ্চিত, আমরা চাকরি চাইতে এসেছি, আমাদেরই ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা রাজ্যের লজ্জা, প্রশাসনের লজ্জা।”
এদিকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাস্তায় নামতে চলেছেন ‘যোগ্য চাকরিপ্রার্থী’-রাও। ফলে আন্দোলনের আগুন আরও ছড়াতে পারে রাজ্যজুড়ে। নিয়োগ ইস্যুতে যে আবার রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়বে—তার ইঙ্গিত মিলছে এখন থেকেই।







