কলকাতার বড়বাজার আবারও ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হল (Fire Breaks Out)। সোমবার ভোরের অন্ধকার কাটতেই এজরা স্ট্রিটে আচমকাই দেখা যায় ধোঁয়া আর আগুন। একটি ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানের দ্বিতীয় তলা থেকে আগুনের শুরু (Fire Breaks Out)। প্রথমে ছোট মনে হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন এমন ভয়াবহ রূপ নেয় যে পুরো বিল্ডিংটি জ্বলতে থাকে টগবগ করে। দমকল দ্রুত ছ’টি ইঞ্জিন পাঠায়, কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় একে একে ২০টি ইঞ্জিন নামাতে হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
এজরা স্ট্রিট এমনিই অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা। দোকান, গুদাম, সারি সারি পুরনো বিল্ডিং—সব মিলিয়ে দমকলের কর্মীরা ভিতরে পৌঁছতেই পারছেন না (Fire Breaks Out)। যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, তার মাঝের অংশে পৌঁছানো একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে আগুন বারবার নতুন নতুন খোলা জায়গা পেয়ে ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী বিল্ডিংগুলিতে। উল্টো দিকের সাদা বিল্ডিংটিও রেহাই পায়নি—এক তলা দু’তলা করে আগুন উঠে গিয়েছে দশতলার ছাদ পর্যন্ত (Fire Breaks Out)।
আগুন বাড়তেই চারদিকে ছুটোছুটি শুরু হয়। প্রায় ৩০০–৩৫০ দোকান রয়েছে এই এলাকায়। অনেকেই আগেই রাস্তার ধারে মালপত্র রেখেছিলেন। আগুনের তীব্রতা বাড়তেই দোকানদাররা মাথায়, কাঁধে, হাতে করে নিজেদের জিনিসপত্র টেনে বার করতে থাকেন (Fire Breaks Out)। কিছু মাল চেষ্টা করেও বের করা যায়নি। সেই দোকানগুলিই সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে।
যে ইলেকট্রিক দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত, তার মালিক পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন। তাঁর কথায়, কয়েক কোটি টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী দোকানে ছিল। সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আশেপাশের আরও বহু দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকল জানিয়েছে, আগুনের উৎস খুব ঘিঞ্জি জায়গায়—সেই অংশে পৌঁছতে না পারলে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারাও দমকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন—বালতি বালতি জল ঢালছেন, ভিতরে প্রবেশ না করতে পারলেও বাইরে থেকে চেষ্টা করছেন আগুন চাপা দিতে। তবুও পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনকই।













