বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র ব্যাপক জয়ের পর দিল্লিতে বিজেপি কর্মীদের সামনে তীব্র আক্রমণে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কংগ্রেসের ভরাডুবিকে কটাক্ষ করে তিনি দাবি করলেন, কংগ্রেস এখন তাদের জোটসঙ্গীদের জন্যও বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং দলের ভিতরে ক্রমশ বাড়ছে অসন্তোষ। সেই অসন্তোষই খুব শিগগির বড়সড় ভাঙনের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।
মোদির (PM Modi) দাবি, ২০২৪–এর পর থেকে কংগ্রেস ছয়টি রাজ্যে একটি ভোটও জিততে পারেনি। তাঁর কথায়, এই ছ’টি রাজ্য মিলিয়ে কংগ্রেস ১০০টিও আসন পাবে না। সেখান থেকেই তিনি (PM Modi) কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, এখনকার কংগ্রেস হল “এমএমসি—মুসলিম লিগ মাওইস্ট কংগ্রেস।” দলের অভ্যন্তরে নাকি তৈরি হচ্ছে নতুন এক গোষ্ঠী, যারা দলটির ‘নেতিবাচক রাজনীতি’তে অস্বস্তি বোধ করছে।
নাম না করেও রাহুল গান্ধীকে একহাত নেন মোদি (PM Modi)। বলেন, সেই ‘নামদার’-ই নাকি ভুল নীতির জেরে দলের ভিতরে ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলছেন। তাঁর নেতৃত্ব কংগ্রেসকে নিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে।
প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) অভিযোগ, কংগ্রেসের রাজনীতি শুধুই বিভাজন আর দেশের বিরুদ্ধে শত্রুদের এজেন্ডাকে শক্তিশালী করা। এমনকি কংগ্রেসের জোটসঙ্গীরাও নাকি বুঝতে শুরু করেছে যে কংগ্রেস তাদের সঙ্গীদের ভোটব্যাঙ্ক ‘গিলে’ ফেলতে চায়। তাই কংগ্রেসকে তিনি সরাসরি “পরজীবী দল” বলছেন। তাঁর কথায়, “আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম—কংগ্রেস হল বোঝা, পরজীবী দল। ক্ষমতায় ফিরতে জোটসঙ্গীদের ভোটটুকু পর্যন্ত দখল করতে চায়।”
বিহারের ফলকে কেন্দ্র করে মোদি দাবি করলেন, আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন আরও প্রকট হয়ে সামনে আসবে। তিনি অভিযোগ তুললেন, ভোট চলাকালীন কংগ্রেস তাঁকে এবং নির্বাচনী কমিশনকে অপমান করেছে, ‘ভোট চুরি’ অভিযোগ তুলে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।
জয়ের পর বিহারের উন্নয়ন নিয়ে আবারও অঙ্গীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আরও দ্রুত উন্নয়ন হবে রাজ্যে। নতুন শিল্প আসবে, যাতে বিহারের যুবকদের আর বাইরে গিয়ে চাকরি খুঁজতে না হয়।
বক্তৃতার শেষে তিনি দাবি করেন, এনডিএ-র জয় জনগণের উন্নয়নমুখী রাজনীতির স্বীকৃতি। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ‘জঙ্গলরাজ’ শেষ হবে।













