বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হল (Balurghat)। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃত রোগীর পরিবার। শুরু হল বিক্ষোভ, হাসপাতালের ভেতর-বাইরে সৃষ্টি হল বিশৃঙ্খলা। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় (Balurghat)।
পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তুরিপাড়ার বাসিন্দা রাহুল সিং। বয়স মাত্র বাইশ। পেশায় ঢাকি। তাঁকে দ্রুত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক প্রথমেই জানান রাহুল নাকি জন্ডিসে আক্রান্ত। কিন্তু কোনও পরীক্ষা ছাড়াই কীভাবে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন চিকিৎসক—এ প্রশ্নে ক্ষুব্ধ আত্মীয়রা (Balurghat)। তাঁদের অভিযোগ, রাতেই ভর্তি হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কীভাবে মৃত্যু হল, তারও কোনও সঠিক ব্যাখ্যা পাননি তাঁরা।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ—রোগীর মৃত্যুর খবর পরিবারের কাউকে হাসপাতাল জানায়নি (Balurghat)। অথচ পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর জমা ছিল হাসপাতালের নথিতেই। বহু বার খোঁজ নিলেও কোনও তথ্য দিতে চাননি কর্তব্যরত নার্স বা স্বাস্থ্য কর্মীরা। শেষে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবার হাসপাতালে এসে জানতে পারেন রাহুল আর নেই। এই আচরণেই ক্ষোভ উড়ে যায় চরমে, শুরু হয় বিক্ষোভ।
রাহুলের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা নিরপেক্ষ তদন্ত চান। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নেও হয়েছে। তাঁদের দাবি, দায়িত্বে গাফিলতি করা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হোক। হঠাৎ সুস্থ একজন যুবক ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে মারা গেলেন—এই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের অভিযোগ বারবার উঠছে, কিন্তু তদন্তের ফলাফল দেখা যায় না। রাহুলের মৃত্যু নতুন করে সেই ক্ষোভকেই উসকে দিয়েছে।













