Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ‘ভালবাসা নয়, উন্নয়ন!’—বিহারের রায়ে উচ্ছ্বসিত মোদী, বাংলার দিকে কি এখন নজর?
দেশ

‘ভালবাসা নয়, উন্নয়ন!’—বিহারের রায়ে উচ্ছ্বসিত মোদী, বাংলার দিকে কি এখন নজর?

PM Modi in Bhutan
Email :3

বিহারে এনডিএ-র বিপুল জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) কণ্ঠে ঝরল উচ্ছ্বাস। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরই তিনি জানিয়ে দিলেন—এটা শুধু রাজনৈতিক জয় নয়, এটা ‘সুশাসন, উন্নয়ন আর সামাজিক ন্যায়ের জয়’। মানুষ যে এনডিএকে অভূতপূর্ব বহুমত দিয়েছে, তার জন্য তিনি বিহারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান (PM Modi)।

মোদী (PM Modi) এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘সুশাসন জিতেছে। উন্নয়ন জিতেছে। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা জিতেছে। সামাজিক ন্যায় জিতেছে। বিহারের প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ, যারা এনডিএকে ইতিহাসগড়া বিজয় উপহার দিলেন। এই ম্যান্ডেট আমাদের আরও শক্তি দেবে, মানুষের সেবা করার প্রেরণা দেবে।’’

তিনি (PM Modi) জানান, বিহারে এনডিএ-র সরকার গত কয়েক বছরে যে ‘সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন’ করেছে, তারই পুরস্কার তারা পেয়েছে। ভোটাররা দেখেছেন কাজ, দেখেছেন পরিবর্তনের স্বপ্ন—তাই এমন বিপুল ব্যবধানের জয়।

মোদী (PM Modi) এ দিন বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, চিরাগ পাসওয়ান, জিতন রাম মাঁঝি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে। তিনি বলেন, এনডিএ-র প্রতিটি কর্মী নিরলস পরিশ্রম করেছেন—মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন উন্নয়নের বার্তা, এবং বিরোধীদের “মিথ্যা প্রচার”ের জবাব দিয়েছেন তথ্য-প্রমাণ দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আগামী দিনে বিহারের পরিকাঠামো, সংস্কৃতি, যুবসমাজ ও মহিলাদের ক্ষমতায়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এনডিএ। ‘‘বিহারের যুবক-যুবতীদের আমরা আরও বেশি সুযোগ দেব সমৃদ্ধ জীবনের।’’

বিহারের এই নির্বাচনকে অনেকেই দেখছিলেন উচ্চ-ঝুঁকির লড়াই হিসেবে—এনডিএ বনাম মহাগঠবন্ধন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই দাঁড়াল বিজেপি আর জেডিইউ—কে হবে সবচেয়ে বড় দল! আর মহাগঠবন্ধনের ‘ভোট চুরি’ প্রচার ভোটারদের মনে একফোঁটা দাগও ফেলতে পারেনি।

সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে পাওয়া চিত্র অনুযায়ী, ২০৪টি আসনে এগিয়ে এনডিএ। এর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বড় দল বিজেপি—৯২ আসনে লিড। নীতীশ কুমারের জেডিইউ কাছাকাছি—৮২ আসনে এগিয়ে। চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (রামবিলাস) ২৯ আসনে লড়ে ২১টিতে এগিয়ে। জিতন রাম মাঁঝির দলও ৫টি আসনে লিড ধরে রেখেছে।

অন্যদিকে মহাগঠবন্ধনের অবস্থা কার্যত ভেঙে পড়া বাড়ি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৪টি আসনে এগিয়ে। এর মধ্যে তেজস্বী যাদবের আরজেডি ২৫টিতে এবং কংগ্রেস ৫টিতে। প্রথমবার রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি পুরোপুরি শূন্য হাতে ফিরছে।

বিহারের এই রায় শুধু এক দিনের রাজনৈতিক ঝড় নয়—এটা ভারতের রাজনীতির নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। নীতীশ-মোদী জুটি শুধু ফিরে আসেননি—ফিরে এসেছেন আরও শক্তিশালী হয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts