বিহারের ভোটের ফল স্পষ্ট হতে না হতেই রাজনীতির তাপমাত্রা হঠাৎই বেড়ে গিয়েছে বাংলায়। বিহারে এনডিএ–র জয়ের ঢাক বাজতেই তৃণমূলও (TMC) নেমে পড়েছে রাজনৈতিক পালটা আক্রমণে। ভোটের দিনেই টিএমসি তাদের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছে একটি অ্যানিমেশন ভিডিয়ো, যার নাম রাখা হয়েছে ‘প্রেমের লাইসেন্স?’। ভিডিয়োর প্রতীকী গল্পে দেখানো হয়েছে—বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার সামাজিক কাঠামো নাকি কতখানি বদলে যেতে পারে । তৃণমূলের (TMC) দাবি, ভালবাসা, পছন্দ, স্বাধীন মত প্রকাশ—সবই নাকি তখন হয়ে উঠবে নিয়ন্ত্রিত এবং সন্দেহের চোখে দেখা একটি অপরাধ।
অ্যানিমেশনে দেখানো হয়েছে, এক যুবক বিজেপি শাসন প্রতিষ্ঠার পর সমাজে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন দেখে মুষড়ে পড়ছেন (TMC) । ফোনে নজরদারি, সোশ্যাল মিডিয়ায় গোপন তদারকি, নিজের প্রেমের সম্পর্ককে ‘অপরাধ’ ঘোষণা—এই সবই দেখে অনুতাপের সুরে বলতে শোনা যায় তাঁকে, “আমরাই ভুল করেছি… একটা বোতাম টিপে ভুল করে ফেলেছি।” তৃণমূলের (TMC) মতে, এটি ভবিষ্যতের ভয়াবহ ছবি—যা বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলেই বাস্তব হয়ে উঠতে পারে।
When power starts choosing for you, you stop choosing at all.
Imagine a Bengal where even Pujo plans come with scrutiny, where walking with your own sister can be questioned, and where love itself feels like a crime.
‘What If They Come’ doesn’t just pose a question, it… pic.twitter.com/pceb0A5xKQ
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 14, 2025
ভিডিয়োটি প্রকাশ পেতেই শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, বিহারের ফল দেখে তৃণমূল (TMC) ভয় পেয়েছে বলেই এ ধরনের ‘মিথ্যে আতঙ্ক প্রচার’ করছে। বিজেপির রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, বিহারের ফলই প্রমাণ করেছে মানুষ বদলের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন। তাঁর মন্তব্য, “ভুল বুঝিয়ে লাভ নেই। ছাব্বিশে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ভোট পড়বে। এখন থেকেই ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। রাহুল গান্ধীর কী হাল হল, দেখলেন তো? তারপরেও আপনাদের লজ্জা নেই—মিথ্যাচার করছেন।”
অগ্নিমিত্রার দাবি, বাংলার মানুষ আর বিভ্রান্ত হবে না, তারা উন্নয়ন চায়, আর সেই উন্নয়ন দেবে বিজেপি। তবে এসব মন্তব্য মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি—বাংলার মানুষ বিজেপির বিভাজনরাজনীতি গ্রহণ করে না, আর এই অ্যানিমেশন ভিডিয়ো বাংলার আসল ভয়গুলোই তুলে ধরছে।
বিহারের ফলের গরম হাওয়ায় এখন উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক ময়দান। ভোটের কাউন্টডাউন যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে দুই শিবিরের সুর এবং পালটা সুর।













