দিল্লির রেড ফোর্ট বিস্ফোরণ (Delhi Blast) ঘিরে গোটা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য। এবার তদন্তে উঠে এসেছে আরও রোমহর্ষক তথ্য। ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ডা. শাহীনা সাঈদ (Dr Shaheena Saeed) নাকি এই হামলার মূলচক্রীদের অন্যতম। এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, সহকর্মীদের দাবি—দিনে তিনি ক্লাস নিতেন, কিন্তু বিকেল চারটার পরেই নাকি “আসল কাজ” শুরু করতেন। অর্থাৎ, পড়াশোনার ছদ্মবেশে চালাতেন ভয়ঙ্কর নাশকতার পরিকল্পনা (Delhi Blast)।
তদন্তে জানা গিয়েছে, শাহীনার হাতে সবসময় থাকত একটি মিসবাহা (রোজারি) ও একটি হাদিস বই। আচরণে ছিলেন নিঃশব্দ ও সন্দেহজনক। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভেঙে তিনি মাঝেমধ্যে নিখোঁজ হয়ে যেতেন (Delhi Blast), কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ বেরিয়ে পড়তেন। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে নিজেদের দায় অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা সম্পূর্ণভাবে তদন্তে সহযোগিতা করছে।
ইন্টেলিজেন্স সূত্রের দাবি, পাকিস্তান-ভিত্তিক জইশ-এ-মোহাম্মদ (JeM)-এর মহিলা শাখার নেতৃত্বেই ছিলেন শাহীনা (Delhi Blast)। এই সংগঠনই ২০০১ সালের সংসদ আক্রমণ ও ২০১৯ সালের পুলওয়ামা বিস্ফোরণের জন্য কুখ্যাত। এবার রেড ফোর্ট বিস্ফোরণেও সেই ছায়া স্পষ্ট।
গত ১০ নভেম্বর রাতে রেড ফোর্টের কাছে একটি হুন্ডাই i20 গাড়িতে রাখা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ফেটে মৃত্যু হয় ১৩ জনের (Delhi Blast), আহত বহু পর্যটক। প্রথমে একে দুর্ঘটনা মনে হলেও তদন্তে সামনে আসে ভয়াবহ সন্ত্রাসচক্রের চিত্র। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত একাধিক চিকিৎসক, ছাত্র ও গবেষক এখন সন্দেহভাজনদের তালিকায়।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে তৈরি হয়েছিল এক গোপন নারী নেটওয়ার্ক (Delhi Blast), যাদের মাধ্যমে বিদেশি সংগঠন ভারতের মাটিতে হামলার নকশা তৈরি করেছিল। ডা. শাহীনা সাঈদের গ্রেফতারির পর তদন্তের মোড় পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। তাঁর মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে মিলেছে এনক্রিপ্টেড চ্যাট, বিদেশি ফান্ড ট্রান্সফারের নথি ও কোডেড বার্তা।
দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছে—শিক্ষা, চিকিৎসা ও ধর্মের ছদ্মবেশে কীভাবে এমন ভয়ঙ্কর জঙ্গি ঘাঁটি গড়ে উঠল! ফরিদাবাদ থেকে দিল্লি—দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার, আর সেই সুবিধাই নাকি কাজে লাগিয়েছিল এই গোষ্ঠী। তদন্তকারীরা বলছেন, “ডা. শাহীনা একজন শিক্ষিত, প্রভাবশালী এবং বিপজ্জনক সংগঠক। তিনি শুধু অংশগ্রহণ করেননি, নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
দেশজুড়ে এই ঘটনায় নেমেছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। নাগরিকদের প্রশ্ন—ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর ঢুকে পড়ছে কি জঙ্গি সংগঠনগুলোর ছায়া? সরকার জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না, এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।












