লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের (Delhi Blast) তদন্তে অবশেষে মিলল বড় ব্রেক-থ্রু। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সোমবারের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন পেশায় চিকিৎসক ডঃ উমর নবিই (Delhi Blast)। ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত এই চিকিৎসকই ছিলেন সাদা রঙের আই-২০ গাড়ির চালক, যেটি রিং সার্কেলের কাছে বিস্ফোরিত হয়।
তদন্ত সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের আগের তিন ঘণ্টা লালকেল্লার পার্কিং লটে অপেক্ষা করছিলেন উমর (Delhi Blast)। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিনি বারবার ফোনে কথা বলছেন এবং গাড়ির ভিতর থেকে বের হচ্ছেন না। সন্ধ্যার কিছু পরেই গাড়ি নিয়ে বেরনোর মুহূর্তে রিং সার্কেলের সিগন্যালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের (Delhi Blast)পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় গাড়ির সামনের অংশে আটকে থাকা এক টুকরো পা। সেই দেহাংশের ডিএনএ নমুনা উমরের মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। এনআইএ নিশ্চিত করেছে— দেহাংশটি চিকিৎসক উমর নবিরই। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা তদন্ত দফতরে।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঠিক আগে উমরকে দেখা গিয়েছিল রামলীলা ময়দানের কাছে আসাফ আলি রোডের এক মসজিদে। সেখান থেকে সরাসরি তিনি গিয়েছিলেন সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে, যেখানে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসেছিলেন। এনআইএ এখন উমরের মোবাইল ডেটা, সিগন্যাল ইতিহাস ও যোগাযোগের তালিকা খতিয়ে দেখছে।
পুলওয়ামার বাসিন্দা ডঃ উমর ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে ফ্যাকাল্টি মেম্বার ছিলেন। তাঁর সহকর্মী ও পরিবার হতবাক। পরিবারের সদস্যরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে শান্ত, মিতভাষী এক চিকিৎসক এমন ভয়াবহ ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারেন। উমরের বউদি বলেন, “ও সবসময় বই আর হাসপাতালে সময় দিত। ওঁর এই কাজ করা অসম্ভব বলে মনে হয়।”
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণকাণ্ড (Delhi Blast)শুধুমাত্র আত্মঘাতী হামলা নয়— এর পেছনে থাকতে পারে আন্তর্জাতিক জঙ্গি যোগ। আল ফালাহ কলেজের আরও কয়েকজনের সঙ্গে উমরের যোগাযোগও এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লির নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বলছে, এই ঘটনার পর রাজধানীর সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে একাধিক স্তরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। এনআইএ সূত্রে খবর, উমর নবির ব্যাংক ট্রানজ্যাকশন, মেসেজিং অ্যাপ ও ক্লাউড ব্যাকআপ থেকে একাধিক সন্দেহজনক নথি উদ্ধার হয়েছে। তবে কীভাবে এক চিকিৎসক এমন চরম পথে গেলেন, সেটাই এখন তদন্তের সবচেয়ে বড় ধাঁধা।













