Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • খুন না রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? রাজগঞ্জ বিডিও ও তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য
রাজ্য

খুন না রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? রাজগঞ্জ বিডিও ও তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য

rajgang bdo
Email :6

দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড় (Dattabad)। আরও এক জনের গ্রেপ্তারিতে রাজনৈতিক মহলেও তোলপাড়। এবার পুলিশের জালে কোচবিহারের রাজগঞ্জের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সজল সরকার (Sajal Sarkar)। বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে (Dattabad)। সূত্রের খবর, সজল রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের ঘনিষ্ঠ। খুনের ঘটনায় তাঁর ভূমিকা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এর আগে এই মামলায় রাজগঞ্জের বিডিওর গাড়িচালক ও এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল (Dattabad)। ফলে মোট তিন জনকে এখন পর্যন্ত আটক করেছে পুলিশ। খুনের ছায়া রাজনীতিতে পড়তেই উত্তপ্ত হয়েছে প্রশাসনিক মহল।

নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলা (Swapan Kamila), পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্ট অফিস এলাকার দিলামাটিয়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে দত্তাবাদে সোনার গয়নার দোকান চালাতেন তিনি (Dattabad)। পরিবারের অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় দোকান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পর নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকার বাগজোলা খালের ধারে একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।

পরিবারের (Dattabad) দাবি, “অপহরণ করে খুন করা হয়েছে স্বপনবাবুকে।” অভিযোগের তির সরাসরি রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের (Prashant Barman) দিকে। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে বিডিওর বাড়ি থেকে কিছু গয়নাগাটি চুরি গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই গয়না নাকি স্বপনবাবুর দোকানে বিক্রি করা হয়। সেই অভিযোগ নিয়েই বিডিও প্রথমে আসেন দোকানে, পরে ফের ২৮ অক্টোবর নীলবাতি গাড়ি নিয়ে আসেন দোকানের সামনে।

চোখে পড়েছে তাঁকে, দাবি করেছেন স্থানীয়রা। ওই গাড়ি থেকেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়— এমনটাই জানিয়েছে পরিবার। পরদিনই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পুলিশের অনুমান, গয়না সংক্রান্ত বিরোধই এই হত্যার মূল কারণ।

তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, শুধু ব্যক্তিগত রাগ নয়, এর নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগও রয়েছে কি না। কারণ, ধৃত সজল সরকারের রাজনৈতিক প্রভাব এবং বিডিওর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে প্রশাসনের অন্দরে শুরু হয়েছে ফিসফাস— “একজন সরকারি আধিকারিকের গাড়ি, তৃণমূল সভাপতির প্রভাব— এ কেস কি শুধুই খুন, না কি এর পেছনে আরও বড় চক্র?”

বিধাননগর পুলিশ ইতিমধ্যেই রাজগঞ্জ বিডিও অফিসে তদন্ত শুরু করেছে। রাজনীতির মঞ্চেও এখন গরম এই খুনের ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts