Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • দিল্লি বিস্ফোরণে এবার বাংলার যোগ! মুর্শিদাবাদে হানা দিল এনআইএ
জেলা

দিল্লি বিস্ফোরণে এবার বাংলার যোগ! মুর্শিদাবাদে হানা দিল এনআইএ

delhi blast aaaa
Email :4

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার বাংলার যোগ! তদন্তের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে হাজির হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)-র টিম (Delhi Blast)। বুধবার দুপুরে তারা পৌঁছয় মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার অন্তর্গত নিম গ্রামে। সেখানে মইনুল হাসান নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনদের মোবাইল ফোন থেকেই মিলেছে মইনুলের নম্বর (Delhi Blast)। সেই সূত্র ধরেই বাংলায় অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ।

বুধবার সকাল থেকেই ওই গ্রামে চাঞ্চল্য। একাধিক গাড়িতে চেপে আসে তদন্তকারীদের দল (Delhi Blast)। গ্রামের প্রবেশপথ ঘিরে ফেলে স্থানীয় পুলিশ। তারপর মইনুল হাসানকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয় এবং দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, মইনুল পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও দিল্লি, কখনও মুম্বই— কাজের সূত্রে বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়ান তিনি। সেই সময়েই কিছু জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর (Delhi Blast)।

এনআইএ-র তদন্তে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ ঘটানোর মূল চক্রী মুজাম্মিল আহমেদ গানাই ও উমর মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল (Delhi Blast)। তাদের মধ্যে অন্যতম মইনুল। তাঁর মোবাইল নম্বর থেকেই ফরিদাবাদ ও দিল্লির একাধিক যোগাযোগের সূত্র মেলে। ফলে এনআইএ এখন বাংলায় বসেই তদন্ত চালাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক জায়গায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

এনআইএ সূত্রে খবর, মইনুল ছাড়াও আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে ধৃত জঙ্গিদের বয়ানে (Delhi Blast)। তাদের বাড়িতেও নজর রাখছে তদন্তকারী দল। এই ঘটনায় গোটা এলাকা আতঙ্কিত। গ্রামের মানুষ বলছেন, “আমরা জানতাম না, এমন কোনও ঘটনায় আমাদের গ্রামের নাম জড়িয়ে যাবে। হঠাৎ এনআইএ এসে হাজির হওয়ায় সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, এ বছর ফেব্রুয়ারিতেও মুর্শিদাবাদে জঙ্গি যোগ পাওয়া গিয়েছিল। আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT)-এর একাধিক সদস্যকে ওই জেলা থেকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। পরে অসম ও বিহারের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের ডেরার খোঁজ মেলে। এবার ফের সেই জেলাতেই এনআইএ-র পদচারণা।

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক চিকিৎসক ও ছাত্র। এদের জেরা করেই উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদের সূত্র। গোয়েন্দারা বলছেন, “এই নেটওয়ার্ক শুধু দিল্লি বা ফরিদাবাদ নয়, দেশের অন্তত চার রাজ্যে ছড়িয়ে আছে।”

এনআইএ এখন মুর্শিদাবাদে বসেই মোবাইল নেটওয়ার্ক, ব্যাংক ট্রান্সফার ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন খতিয়ে দেখছে। সন্দেহভাজনদের মধ্যে কেউ দিল্লি বিস্ফোরণের আগে ফরিদাবাদে গিয়েছিলেন কি না, তা জানতে তল্লাশি চলছে।

তদন্তকারীরা আশঙ্কা করছেন, এটি হয়তো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি বৃহত্তর মডিউলের অংশ। দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলার এই যোগ সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts