দিল্লির বুকে ফের রক্তঝরা সোমবার। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী (Delhi Blast)। মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন দেহ, ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারপাশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় প্রাণ হারান ১২ জন নিরীহ মানুষ। আহত আরও বহু। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা দেশে। তদন্তভার নিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। আর তদন্তের প্রথম ২৪ ঘণ্টাতেই মিলেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য (Delhi Blast)।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে (Delhi Blast) ব্যবহৃত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এসেছে বাংলাদেশ থেকে। সোমবারের ঘটনার পরদিনই, অর্থাৎ মঙ্গলবার ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (Delhi Blast)। তদন্তকারীদের অনুমান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকতে পারে আরও ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক। এই বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ এখন এনআইএ-র কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরকের (Delhi Blast) জোগান এসেছে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে। সেখান থেকে চোরাপথে ভারতে ঢোকানো হয়েছে তা। আশঙ্কা, এই চক্রের নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার (Jaish-e-Mohammed & Lashkar-e-Taiba) সক্রিয় নেটওয়ার্ক কাজ করছে। ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে সেনা নজরদারি কঠিন হয়ে পড়ায় এখন বাংলাদেশকে বিকল্প রুট হিসেবে ব্যবহার করছে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি।
তদন্তে উঠে এসেছে আরও ভয়ংকর তথ্য (Delhi Blast)। উত্তর প্রদেশ, কাশ্মীর এবং হরিয়ানায় ছড়িয়ে আছে এই নেটওয়ার্কের শাখা। সূত্র বলছে, অনন্তনাগ ও শ্রীনগরের দুই তরুণ চিকিৎসক— যারা সরকারি হাসপাতালে কর্মরত— আসলে জইশের হয়ে কাজ করছে। শাহিন শাহিদ ধরা পড়লেও এই দুই চিকিৎসক এখনও পলাতক। তাঁদের ডিজিটাল ওয়ালেটে ইস্তাম্বুল ও দোহা থেকে বড় অঙ্কের টাকা ঢুকেছে বলেও জানা গিয়েছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, “এই অর্থস্রোতই প্রমাণ করছে আন্তর্জাতিক সংযোগ। তুরস্ক ও কাতার থেকে যে অর্থ এসেছে, তার ট্রেস পাওয়া গিয়েছে ব্লকচেইনে।” এই তথ্য আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে পহেলগাঁও হামলার সময়ের সেই দৃশ্য, যখন তুরস্ক প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
এদিকে, এনআইএ-র হাতে এসেছে বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের নাম, যারা ধর্ম প্রচারের নামে দেশে জইশ ও লস্করের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই “আইএসআই সমর্থিত” ছোট অফিস গড়ে তোলা হয়েছে। এমনকি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সেই দফতর চালানোর প্রমাণও মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা কর্তারা এখন আশঙ্কা করছেন, সীমান্ত দিয়ে বিস্ফোরক ও অর্থ ছাড়াও আরও বিপজ্জনক জঙ্গি সরঞ্জাম দেশে ঢোকানো হচ্ছে। এনআইএ জানিয়েছে, তদন্তের পরিধি বাড়ানো হয়েছে— এখন তদন্ত চলছে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও।
দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ তাই শুধু রাজধানী নয়, গোটা উপমহাদেশে সন্ত্রাসের নতুন রূপরেখার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মত গোয়েন্দাদের।












